
এই এলাকারই বিশ্বজিৎ রায়ের ছেলে শ্রেয়ানের অন্নপ্রাশনের দিন স্থির হয়েছিল ২৯ মার্চ। এই বাড়িতেও প্যান্ডেল, বাজার সব সারা। করোনা পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান স্থগিত করতে হয়েছে শ্রেয়ানের বাবা বিশ্বজিৎকেও। ছেলের মুখেভাতের অনুষ্ঠান বাতিল করতে হওয়ায় মন খারাপ। তবে তাঁর কথায়, ‘‘সমাজের স্বার্থটা আগে দেখতে হবে। তাই মেনে নিয়েছি। উপায় নেই তো।’’
ফুলবাড়ির গোড়ামোড়ের বাসিন্দা রীতা দেববর্মনের নাতির জন্মদিন ছিল ২৩ মার্চ। সব আয়োজন করা হলেও শেষে সবাইকে ফোন করে অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা জানান স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রীতাদেবী। মন খারাপ তাঁরও। বললেন,‘‘আগামী বছর করব। আর কি করা যাবে।’’
করোনা আশঙ্কায় দেশজুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সমাবেশ ও জনসমাগম। তাই আগে থেকে আয়োজন করে রাখা সামাজিক অনুষ্ঠানও বাতিল করতে হয়েছে অনেককেই। ফুলবাড়ি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা করাতি ও ফুলবাড়ি- ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় বলেন, ‘‘শুধু সরকারি সিদ্ধান্তই নয়, মানবিক সিদ্ধান্তও দরকার। এখানে যারা এই আনন্দের অনুষ্ঠানগুলো বাতিল করেছেন তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। জনসমাগম এড়ানো এবং করোনা আটকাতে এঁদের প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে। সবাইকে এঁদের মতো এগিয়ে আসতে হবে।’’