
প্রশাসনের নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্কুলে খুদে পড়ুয়াদের স্কুলে ডেকে এনে বিলি করা হল চাল ও আলু। স্কুলের পোশাকে পড়ুয়াদের লম্বা লাইন পড়ল স্কুলের সামনে। চাল আর আলু নিতে। সরকারি নির্দেশ রয়েছে একসঙ্গে কোনও ভাবেই জমায়েত করা যাবে না। এই নির্দেশ অমান্য করলে জেল কিংবা জরিমানা দুটোই হতে পারে। এই নির্দেশের পরেও আর এল সাহা বিদ্যাপীঠ স্কুলে জমায়েত হল খুদেদের। করোনা নিয়ে যখন গোটা দেশ আতঙ্কিত। ঠিক তখনই রতুয়ার এই স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন ঢিলেঢালা মনোভাবে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাঁদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি স্কুল পড়ুয়াদের সেখান থেকে বের করে চাল আলু বিতরণ বন্ধ করে দেয় পুলিশকর্মীরা । এই ঘটনা নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইলারানি সিনহা জানান, স্থানীয় বিডিও অফিস এবং থানায় বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে পড়ুয়ারা চলে আসতে পারে আশঙ্কা করেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম প্রশাসনের সঙ্গে। চাল ও আলু নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু পড়ুয়ারা স্কুলে চলে এলে আমি কী করতে পারি!’’
যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা যখন জানতেন পড়ুয়ারা স্কুলে চলে আসতে পারে তখন তিনি কোনও পদক্ষেপ করলেন না কেন? কেন ছোট ছোট বাচ্চাদের এক সঙ্গে লাইনে দাঁড় করানো হল? স্কুল শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা কী করে সব জেনেও এই বিপদের মধ্যে ছোটদের বাড়ির বাইরে আসতে দিলেন সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে রতুয়া থানার আইসি কুণালকান্তি দাস জানান, আর এল সাহা বিদ্যাপীঠ স্কুলে পড়ুয়াদের জমায়েতের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান তাঁরা। চাল,আলু বিলি বন্ধ করে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) উদয়ন ভৌমিক বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ অনুসারে কোনও স্কুলে জমায়েত করা যাবে না। তবে এই স্কুলে কেন বাচ্চাদের ডেকে চাল আলু বিলি করা হল তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’’