Latest News

তল্লাশির নামে অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থার নালিশ অন্ধ্র পুলিশের বিরুদ্ধে

বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা জানান, সরকারের ২৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের একটি দল এখানে তদন্তে আসে। তিনি বলেন, ‘‘শিবপুর-দিঘিরপাড় এলাকায় তল্লাশির বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শরৎপল্লির একটি বাড়িতে তল্লাশির জন্য থানার সাহায্য চাওয়া হয়। তবে কাউকে হেনস্থার বিষয়ে কিছু জানানো নেই। অভিযোগ জানালে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: তল্লাশির নামে রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত এক ডিএসপি ও তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠল অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তল্লাশির নামে বাড়ির জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করা হয়। ডিএসপি ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। তল্লাশির সময় কেউই পুলিশের পোশাকে ছিল না। তল্লাশির সময় বর্ধমান থানার এক পুলিস কর্মীও তাদের সঙ্গে ছিলেন। এ নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ছেলে ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান থানায় নালিশ জানিয়েছেন।

বর্ধমান থানার আইসি পিন্টু সাহা জানান, সরকারের ২৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের একটি দল এখানে তদন্তে আসে। তিনি বলেন, ‘‘শিবপুর-দিঘিরপাড় এলাকায় তল্লাশির বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। তবে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শরৎপল্লির একটি বাড়িতে তল্লাশির জন্য থানার সাহায্য চাওয়া হয়। তবে কাউকে হেনস্থার বিষয়ে কিছু জানানো নেই। অভিযোগ জানালে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

এসপিকে লেখা চিঠিতে অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি মোল্লা সফিকর রহমান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা নাগাদ ৫-৬ জন পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর শিবপুর-দিঘিরপাড়ের বাড়িতে আসেন। তাঁরা নিজেদের অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিসের কর্মী বলে পরিচয় দেন। তাঁরা কেউই পুলিশের পোশাক পরে ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘‘তল্লাশির নামে বাড়ির জিনিসপত্র তাঁরা লণ্ডভণ্ড করে দেয়। এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করায় অর্থ তছরুপের একটি মামলার তদন্তের জন্য তারা তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানায়। শোয়ার ঘরে ঢুকে তাঁরা ঘরের জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে। স্থানীয় পুলিশকে ডাকার জন্য তাদের বলি। তখন তাঁদের মধ্যে একজন নিজেকে বর্ধমান থানার পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।’’

পুলিশের নাম করে দুষ্কৃতীরা তাঁর ঘরে আপত্তিকর জিনিসপত্র রেখে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর। তাঁকে বেশকিছু আপত্তিকর প্রশ্ন করা হয় বলে অভইযোগ করেন ওই ব্যক্তি। ৮০ বছর বয়সে এ ধরণের হেনস্থায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর ছেলে মহম্মদ ইমতিয়াজ রহমান মোল্লা বলেন, ‘‘আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকে হেনস্থা করা হয়েছে। কী কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ আমাদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল তা বুঝতে পারছি না। তল্লাশির কোনও কাগজপত্রও তাঁরা দেখায়নি। তল্লাশির ব্যাপারে আদালতের নির্দেশও তাঁরা দেখাতে পারেনি। বাবা-মা দু’জনেই অসুস্থ। তাঁদের উপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।’’

বর্ধমানের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘গোটা ঘটনাটা নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

You might also like