
এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জোর করে জমা জলে নেমে পরিস্থিতি দেখতে বাধ্য করলেন নাজেহাল আবাসিকরা
জমা জলে নাজেহাল হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্ণজোড়া সরকারি আবাসনের মহিলা ও পুরুষ আবাসিকরা ঘেরাও করেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দফতর। জোর করে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জমা জলে নেমে পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে বাধ্য করেন তাঁরা।
দীর্ঘ সময় তালা বন্ধ থাকার পর দ্রুত জল নিকাশি ব্যবস্থা হবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুলিশের সাহায্যে মুক্তি পেলেন পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মিহির সরকার।
১০ দিন ধরে বৃষ্টির জমা জলে নাজেহাল কর্ণজোড়া সরকারি আবাসনের আবাসিকরা। অভিযোগ, নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে থাকায় বৃষ্টির জমা জল বের হচ্ছে না সরকারি আবাসনের চত্বর থেকে। এরফলে সমস্যায় পড়েছেন সরকারি আবাসনে থাকা আবাসিকরা। ওই আবাসনেই এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এর দফতরে গিয়ে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।
চারদিন হয়েছে বৃষ্টি থেমেছে। ফের নতুন করে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি শুরু হয়। আর তারপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সরকারি আবাসনে থাকা আবাসিকরা। তাঁরা জানান, জমা জলে নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। আবাসনের বাসিন্দা ছবি দাস, কুমকুম রায়রা বলেন, ‘‘সাপ, পোকামাকড়, জমা জলের পচা গন্ধ, মশা সব মিলিয়ে ঘরে থাকাই দায় হয়ে পড়ছে। এরপরেও কোনও হেলদোল নেই ওই আবাসনের থাকা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দফতরের কর্মী-আধিকারিকদের।’’
বৃহস্পতিবার দুপুরে আবাসনের মহিলা ও পুরুষ আবাসিকরা ঘেরাও করেন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের দফতর। জোর করে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জমা জলে নেমে পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে বাধ্য করেন তাঁরা। পরিদর্শনের পর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মিহির সরকার বলেন, ‘‘এই বছর বৃষ্টি বেশি হওয়াতেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নিকাশি নালা পরিষ্কার করছি। দ্রুত সমস্যা মিটবে।’’
কিন্তু কবে সমস্যা মিটবে? কবে জমা জল নামবে? তার কোনও সদুত্তর না পেয়ে আবাসিকরা ইঞ্জিনিয়ারকে তাঁর নিজের দফতরেই তালাবন্দি করে দেন। খবর পেয়ে ওই আবাসনে পৌঁছয় কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জল দ্রুত নামার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। এই আশ্বাস পাওয়ার পরেই তাঁকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেন আবাসিকরা।
আবাসিকদের প্রশ্ন, সরকারি টাকা খরচ করে যে নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে বর্ষায় কেন তার এমন হাল? এর উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি।