
চাকরি দিলেও আলিপুরদুয়ারে স্বপ্নার থাকা নিয়ে সংশয়ে রেল আধিকারিকরা
দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার: সোনার মেয়ে স্বপ্না বর্মনকে চাকরি দিল রেল। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের স্টাফ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ইন্সপেক্টর পদে তাঁকে নিয়োগপত্র দিয়েছে রেল। বুধবারই এই নিয়োগপত্র স্বপ্নার হাতে তুলে দিয়েছেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম কে এস জৈন। এক মাসের মধ্যেই তাঁকে কাজে যোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন রেল আধিকারিকরা।তবে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনে স্বপ্নার এই চাকরি তাঁর খেলাধুলো করার পথ কতটা প্রশস্ত করবে তা নিয়ে রেল আধিকারিকদের মধ্যেই তৈরি হয়েছে সংশয়।
আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল পার্সোনাল অফিসার সৈয়দ জাহাঙ্গির বলেন, “স্বপ্না কাজে যোগ দেওয়ার পর মাসিক ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। কিন্তু বড় কোনও শহরে স্বপ্নার চাকরি হলেই বোধহয় তাঁর খেলাধুলোর পক্ষে ভালো হত। এখানে কোথায় কীভাবে ও অনুশীলন চালাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। এখানে খেলাধুলোরতো তেমন ভালো পরিকাঠামো নেই।”
তবে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করছেন আলিপুরদুয়ার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব সঞ্চয় ঘোষ। তিনি বলেন, “আর্থিক নিরাপত্তা যে কোনও খেলোয়ারের পক্ষেই খুব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। স্বপ্না অত্যন্ত গরীব ঘরের সন্তান। ফলে তাঁর এই চাকরি তাঁকে সাহায্যই করবে বলে মনে হয়। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলকে এই কারণে ধন্যবাদ দিতেই হয়। আর সুবিধে অসুবিধের বিষয়টি নিশ্চই স্বপ্না সব থেকে ভালো বলতে পারবেন। ওনার অনুমতি নিয়েই তাকে এই চাকরি দেওয়া হয়েছে। স্বপ্না আলিপুরদুয়ারে চাকরি করবেন এটা আমাদের কাছে অবশ্যই গর্বের।”
জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়ার হতদরিদ্র পরিবারের এই মেয়ে ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়াডে সোনা জয় করেন। তার আগে ২০১৭ সালে এশিয়ান অ্যাথেলেটিকস চ্যাম্পিয়ানশিপে হেপটাথেলন বিভাগে সেরা হয় সোনা পেয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের এই মেয়ে। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে ভারত সরকার তাঁকে অর্জুন পুরস্কার দেয়। বাংলার এই মেয়েকে এ বার চাকরি দিল রেল। চেষ্টা করেও স্বপ্নাকে ফোনে পাওয়া যায় নি। তাঁর মা বাসনা বর্মন বলেন, “আমি এখনও এই বিষয়ে কিছু জানি না। স্বপ্নাকে ফোন করে জেনে তারপর মন্তব্য করতে পারব।”