Latest News

উত্তরবঙ্গের সরকারি পর্যটন আবাসগুলিতে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা

পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁদের নিয়ে আমাদের লড়তে হবে। তাই তাঁদের ভালো জায়গায় থাকতে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। তাঁরা কেউ আক্রান্ত হলে পরিবারের সদস্যদেরও এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এনে রাখা হবে। আপাতত এই তিন আবাস নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে আরও নেওয়া হবে।’’

দ্য ওয়াল ব্যুরো, শিলিগুড়ি: সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন যাঁরা, সেই যোদ্ধাদের জন্য উত্তরবঙ্গের তিনটি প্রথম সারির সরকারি পর্যটন ভবন ছেড়ে দিল রাজ্য। ইতিমধ্যে দু’টি ভবনে থাকতে শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যের সিদ্ধান্ত মতো এই তিন পর্যটন ভবনে তৈরি করা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার।

শিলিগুড়িতে পর্যটন দফতরের মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে তৈরি হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। একইভাবে রায়গঞ্জের সরকারি পর্যটন ভবন দিনান্ত এবং জলদাপাড়ার আরণ্যক টুরিস্ট লজেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির জন্য বাছাই করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় সামনে থেকে কাজ করছেন চিকিৎসকরা, স্বাস্থ্যকর্মীরা। শিলিগুড়িতে তাঁদের ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কোভিড হাসপাতালের সুপার ছাড়াও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪ জন চিকিৎসক এখনও ভর্তি। টেকনিশিয়ান ও নার্সরাও রয়েছেন আক্রান্তদের তালিকায়।

করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করলেও কাজের শেষে বাসস্থানে ফিরে কিন্তু নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সহকারী সুপারকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁর বৃদ্ধা মা ও পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা পর্যন্ত হতে হয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই নার্স করোনা আক্রান্ত না হলেও যেখানে তাঁরা থাকতেন সেখানে একরকম সামাজিক বয়কটের মধ্যে পড়তে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় ঢুকতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। আবার অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীই রোগীদের পাশে দাঁড়ানোয় নিজের পরিবারের লোকেদের নিরাপত্তার খাতিরে হাসপাতাল থেকে ঘরে যেতে চাননা। কারণ তাতে পরিবারের অন্যদেরও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে আবার সমস্যা হচ্ছে তাঁদের থাকার জায়গার। এজন্যই এই যোদ্ধাদের পাশে দাঁড়াতে সরকারি লজগুলোকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার ভাবনা।

ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ পর্যটন ভবনে থাকতে শুরু করেছেন সেখানকার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শিলিগুড়ির মৈনাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কিংবা কোভিড হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের থাকার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানেও এক চিকিৎসক থাকতে শুরু করেছেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁদের নিয়ে আমাদের লড়তে হবে। তাই তাঁদের ভালো জায়গায় থাকতে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। তাঁরা কেউ আক্রান্ত হলে পরিবারের সদস্যদেরও এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এনে রাখা হবে। আপাতত এই তিন আবাস নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনে আরও নেওয়া হবে।’’

You might also like