Latest News

বর্ষা আসতেই তীব্র হয়ে উঠেছে উমফানের ক্ষতি, নদীর গর্জন শুনে আতঙ্কে দিশাহারা নদিয়ার চরের মানুষ

এখন ভরা বর্ষা নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গেছে নদিয়ার কল্যাণীর কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। ‘‘রাত বাড়লেই নদীর ডাকও বাড়ছে।’’ বলছেন এলাকার বাসিন্দা নবীন মাহাতো। তাঁর কথায়, ‘‘ রাতে ঘুম হয় না। যদি ঘর গিলে নেয় নদী।’’

দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: প্রতিবার বর্ষা এলেও ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন কল্যাণী ব্লকের চর যাত্রাসিদ্ধি, চর বীরপাড়া, চর জাজিরা গ্রামের প্রায় কয়েকশো বাসিন্দা। এ বার উপরি উমফান। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে  বাঁধ। তারপর কেটে গেল এক মাস। মেরামতি হয়নি কোনওটাই। এবার বর্ষার নদী আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। আশঙ্কায় তাই ঘুম ছুটেছে।

এখন ভরা বর্ষা নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গেছে নদিয়ার কল্যাণীর কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। ‘‘রাত বাড়লেই নদীর ডাকও বাড়ছে।’’ বলছেন এলাকার বাসিন্দা নবীন মাহাতো। তাঁর কথায়, ‘‘ রাতে ঘুম হয় না। যদি ঘর গিলে নেয় নদী।’’ একটু একটু করে গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে চর যাত্রাসিদ্ধি পুর, চরপাড়া এবং চর জাজিরা গ্রামের বিঘার পর বিঘা জমি, বসত।

কয়েক বছর আগে গঙ্গায় চর পড়তেই বহু আশায় এলাকার হতদরিদ্র মানুষেরা এখানে এসে বসবাস  শুরু করেন। বর্তমানে নদীর ভাঙন বাড়ছে দেখে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে জমি, বাড়ি এমনকী গ্রামের একমাত্র কংক্রিটের রাস্তার একটা বড় অংশও। স্থানীয় বাসিন্দা সুরজ মাহাত বলেন, ‘‘প্রতিবার বর্ষার সময় ফুঁসে ওঠে নদী। এবার উমফানের দাপটে আগেই বড় ক্ষতি হয়েছে চরে। বাঁধ ভেঙেছে। জল ঢুকেছে। তার পরেপরেই ঢুকে পড়ল বর্ষা। এ বার মাথার উপর ছাদটুকু আর থাকবে কি না বুঝতে পারছি না।’’

সাংসদ এবং বিধায়ক দুজনকেই জানিয়েছেন চরের মানুষ। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থা কেউ গ্রহণ করেননি। এলাকার মানুষ বলেন, ‘‘প্রতিবার ভোট আসলেই নেতাদের দেখা মেলে। আমাদের দুর্দশা ঘুচবে বলে আশ্বাসও দেন তাঁরা।  কিন্তু ভোট মিটে গেলে আর কাউকে পাওয়া যায় না।’’

কাঁচরাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পঙ্কজকুমার সিং জানান, চরের বাসিন্দাদের দুর্দশার কথা কেউ শোনেন না এই অভিযোগ ঠিক নয়। সেচ দফতরকে পুরো বিষয়টাই জানানো হয়েছে। সম্প্রতি সেচ দফতর থেকে থেকে জানানো হয়েছে ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙন রোধের কাজের টেন্ডার করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে।

তবে গ্রামের মানুষ বলছেন, ভরা বর্ষায় ভাঙন রোধের কাজ করে কতটা সুফল মিলবে তা বলা যায় না। তাই বারবার তাঁরা সুখা ম‌রসুমে এই কাজ করার দাবি জানান। কোনওদিন সে দাবি কানে তোলেন না কেউ।

You might also like