Latest News

দেরিতে রিপোর্ট আসায় বিপত্তি আলিপুরদুয়ারে, কোয়ারেন্টাইন থেকে ফিরে করোনা ছড়াচ্ছেন অনেকেই

যদিও আলিপুরদুয়ার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) সূবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে রিপোর্ট পেন্ডিং থাকার সমস্যা ছিল। এখন তা মিটে গেছে। এখন থেকে রিপোর্ট আসার পরেই আমরা কাউকে কোয়ারাইন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি যেতে দেব। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।"

দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার: রাম দা হাতে এক মদ্যপ যুবককে শামুকতলার বাকলা স্কুলডাঙ্গি গ্রামে ঘুরে বেড়াতে দেখে ঘুম ছুটেছিল বাসিন্দাদের। খবর পেয়ে ছুটে এসেও তার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারছিলেন না স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ। অনেক কষ্টে বাগে আনা হয় তাকে। জানা যায়, কাজের জন্য রাজস্থানে গিয়েছিল ওই পরিযায়ী শ্রমিক। ফিরে এসে মাদারিহাটের কোয়ারাইন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন কাটান। সেখান থেকে গ্রামে ফেরার পরের দিনই জানা যায় তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ। এই খবর পাওয়ার পরেই মদ খেয়ে রাম দা হাতে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করে ওই যুবক। ১৪ দিন কোয়ারাইন্টাইনে থাকার সময় কেন রিপোর্ট দেওয়া হল না সেটাই তার ক্ষোভের কারণ।

কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ারে ফিরে একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এক ব্যক্তি। ১৪ দিন পর স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে আলিপুরদুয়ার শহরে নিজের বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফিরে বাজার-হাট- দোকান সবেতেই প্রয়োজনে ছুটে বেড়িয়েছেন। রিপোর্ট আসতে জানা গেল, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।

শুধু আলিপুরদুয়ার শহর বা শামুকতলায় নয়, ফালাকাটাতেও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পেয়ে ফল বিক্রি করেছেন ফল বিক্রেতা। কিন্তু তারপর ওই ব্যক্তির কোভিড ধরা পড়ায় চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেছে অনেকেরই।

এই তিনটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। রিপোর্ট দেরিতে আসায় পরিযায়ী শ্রমিক বা বাইরে থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাস বহন করে নিয়ে আসা মানুষদের অনেকেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ঘরে ফিরে নিজেদের অজান্তেই গোটা এলাকায় করোনা ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকেই দায়ী করছেন বাসিন্দারা।

যদিও আলিপুরদুয়ার জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ (২) সূবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে রিপোর্ট পেন্ডিং থাকার সমস্যা ছিল। এখন তা মিটে গেছে। এখন থেকে রিপোর্ট আসার পরেই আমরা কাউকে কোয়ারাইন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি যেতে দেব। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।”

এদিকে সোমবার আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের চেপানি হাইস্কুলের কোয়ারাইন্টাইন সেন্টারে থাকা আবাসিকরা লালারস পরীক্ষার দাবিতে অনশন শুরু করেছেন। তাদের দাবি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৫ দিন কেটে গেছে। কিন্তু লালারস পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। টেস্ট করে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বাড়িতে যাবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্য দফতর কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করছেন।

You might also like