
বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে পারেননি, ভাতারের বিডিওর কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠালেন পঞ্চায়েত সদস্যা
শুক্রবার বিকেলে তনুদেবী তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বিডিওর কাছে। তবে এখনও তা গৃহীত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়ত সদস্যার একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: গ্রামের রাস্তা বেহাল। ছোটখাটো যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুস্কর। ঢালাই রাস্তার দাবি জানিয়ে আসার পরেও রাস্তার সংস্কারের কাজ হয়নি। পঞ্চায়েতের কাছে বারবার দরবার করেও রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি বলে অভিযোগ। গ্রামের উন্নয়নের কাজ করতে না পেরে প্রশাসনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন গ্রাম পঞ্চায়তের সদস্যা।
পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তনু মাঝি। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সদস্যা ভাতারের বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গ্রামের রাস্তাঘাটের শোচনীয় অবস্থা। আমাকে গ্রামের লোকজনদের কাছে কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে। অথচ পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে কোনও সহযোগিতা পাইনি।’’
শুক্রবার বিকেলে তনুদেবী তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বিডিওর কাছে। তবে এখনও তা গৃহীত হয়নি বলে জানা গিয়েছে। ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়ত সদস্যার একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর ধরেই বেলডাঙা গ্রামের ভিতর যাতায়াতের রাস্তার শোচনীয় অবস্থা হয়েছে। বিশেষ করে বেলডাঙা বারোয়ারিতলা থেকে ডোমপাড়া হয়ে পাকা রাস্তায় যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে সেই রাস্তার ওপর তৈরি হয়েছে কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোমর সমান গর্ত। এই বর্ষায় পুরো রাস্তা কাদায় ভর্তি। তারই মধ্যে কোনওরকমে সাধারণ মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকবছর ধরেই রাস্তা সংস্কার হয়নি। নতুন করে ঢালাই রাস্তাও তৈরি হয়নি।
স্থানীয় পঞ্চায়তের সদস্যা তনু মাঝির ভাসুর বিকাশ মাঝি বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধি হিসাবে পঞ্চায়তের সদস্যাকেই সাধারণ মানুষ বারবার রাস্তার জন্য বলছেন। কিন্তু আমরা প্রধানের কাছে থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না। দলে যেমন রয়েছি তেমনই দলের হয়ে কাজ করব। কিন্তু বৌমার সদস্যার পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” এদিন তাঁর পরিবারের লোকজনও পঞ্চায়েতের উপর ক্ষোভ উগরে দেন।
ভাতার গ্রাম পঞ্চায়তের প্রধান পরেশনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েত সদস্যা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন শুনেছি। তবে আমি আগেই বেলডাঙা গ্রামের রাস্তার কাজ করাতে বলেছিলাম। কিন্তু তখন গ্রামের লোকজন মাঠে কাঁদরের ওপর সেতুর জন্য বলেছিলেন। ১৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করাও হয়। তারপরেও রাস্তার জন্য স্কিম জমা দিতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে পঞ্চায়েত যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। অসহযোগিতার অভিযোগ সঠিক নয়।’’