
জেলায় শুরু হয়েছে খরিফ মরসুমের ধান তোলার কাজ। মাঠের ধান কেটে চাষিরা এখন খামারে গাদা করছেন। অধীরবাবুর ২২ থেকে ২৫ বিঘের ধান খামারে গাদা করা ছিল। তিনি জানান, আগুনে ১৫ বিঘে জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। সারা বছরের বেঁচে থাকার মূলধন সবই শেষ হয়ে গেল। এখন কী করে সংসার চালাবেন তিনি জানেন না।
গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিপদ ঘোষ বলেন, ‘‘খড়ের গাদা থেকে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পেয়ে আমরা ছুটে যাই। হাতের কাছে যে যা পেয়েছেন সেই সব দিয়েই আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাম্পসেট ও বালতির জল দিয়ে পাড়া প্রতিবেশীরা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।’’ গ্রামের আর এক বাসিন্দা অখিল ঘোষ বলেন, ‘‘বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখি অধীর ঘোষের খামারে থাকা ধানের গাদায় আগুন জ্বলছে। লোকজন তাড়াতাড়ি খামারে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। গ্রামে আসে দমকলের একটি গাড়িও। তবে ততক্ষণে গ্রামের বাসিন্দারাই আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন।’’
অধীরবাবু বলেন, ‘‘সবই লাল স্বর্ণ প্রজাতির ধান। এখন মাঠে ধান কাটা হচ্ছে। আর কাটা ধান আঁটি করে ঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু কী করে কী হয়ে গেল বুঝতে পারছি না।’’ কীভাবে আগুন লাগলো ধানের গাদায় তা তিনি যেমন বুঝতে পারছেন না, তেমন গ্রামবাসীও আগুন লাগার উৎস কেউ বুঝতে পারছেন না।