
বুধবার গভীর রাতে প্রথমে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। মিনিট পাঁচেক পর শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকালে মাঠে গিয়ে ধানগাছের চেহারা দেখে মুষড়ে পড়েছেন চাষিরা। বামুনারা, আমারুন ১ নম্বর, আমারুন ২ নম্বর, মাহাচান্দা ও বনপাস গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি ।
বামুনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজিপুর গ্রামের চাষি জিয়াউল হক বলেন, ‘‘লকডাউনের ফলে এক রকম কাজ হারিয়ে ঘরে বসে আছি। কিন্তু এ বছর ধানের ভালো ফলন হয়েছিল। তাই আশা করেছিলাম ধান ঝেড়ে বিক্রি করে সংসারের অভাব মেটাব। কিন্তু মাত্র কুড়ি মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে সব স্বপ্ন মাটিতে মিশে গেল।’’
ভাতারের কৃষি আধিকারিক বিপ্লব পতিহার জানান, ‘‘ভাতারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পেয়েছি, তাতে ৩০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কৃষি দফতরের কর্মীরা মাঠে গেছেন। তাঁরা রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিলেই আসল চিত্রটা জানা যাবে।’’