
ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে জোড়া শাবক প্রসব চিতাবাঘের, নিরাপত্তায় বাড়তি নজরদারি
ডিএফও জানান, এ বছরের গোড়ায় একবার সন্তান প্রসব করেছিল হর্ষিণী। তখন শাবকটিকে বাঁচানো যায়নি। তাই এবার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিমুহূর্তে তাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হচ্ছে। ওই ঘটনার পর এনক্লোজারের মধ্যে লাগানো হয়েছিল দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। আগাছাও কেটে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: এ বার এনক্লোজারে চিতাবাঘের জোড়া শাবক প্রসব ঝাড়গ্রামে। জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে জোড়া শাবকের জন্ম দিল এখানকার আবাসিক হর্ষিণী ।
লকডাউনে জন্যই এই সাফল্য বলে মনে করছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ঝাড়গ্রামের এই মিনি চিড়িয়াখানা যেটি এখন জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক নামে পরিচিত, সেখানে উত্তরবঙ্গের খয়েরবাড়ি পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে নিয়ে আসা হয়েছিল পুরুষ চিতাবাঘ সোহেলকে। সঙ্গিনী দরকার ছিল তার। তাই ২০১৯ সালে খয়েরবাড়ি থেকেই নিয়ে আসা হয়েছিল হর্ষিণীকে।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটের পর দু’টি পুরুষ শাবকের জন্ম দেয় হর্ষিণী। এখন সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে দুই শাবকের উপরে। মা ও দুই শাবক, প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের খেলা আর খুনসুটি জমিয়ে উপভোগ করছেন পার্কের কর্মী-আধিকারিকরা। পার্কের কর্মী থেকে চিকিৎসকরা সব সময় নজরদারি চালাচ্ছেন শাবক দুটির উপরে। ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হৈলাইচি বলেন, ‘‘এখনও আইসোলেশনে রয়েছে মা ও শাবকরা। তাঁদের উপর সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’
ডিএফও জানান, এ বছরের গোড়ায় একবার সন্তান প্রসব করেছিল হর্ষিণী। তখন শাবকটিকে বাঁচানো যায়নি। তাই এবার বাড়তি সতর্কতা নিয়েছেন তাঁরা। প্রতিমুহূর্তে তাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হচ্ছে। ওই ঘটনার পর এনক্লোজারের মধ্যে লাগানো হয়েছিল দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। আগাছাও কেটে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
এই মাসেই বর্ধমানের মিনি জু রমনাবাগান থেকে উধাও হয়েছে ১১ দিনের একটি চিতাবাঘের শাবক। গত ১১ সেপ্টেম্বর রমনাবাগানে ওই শাবকটির জন্ম দিয়েছিল এখানকার আবাসিক চিতাবাঘ কালী। দিনকয়েক পরে খাঁচা পরিদর্শনে গিয়ে চিতাশাবকটিকে দেখতে পাননি বনকর্মীরা। এরপরেই শুরু হয় তুমুল হইচই। এই অভয়ারণ্যের পাশাপাশি চাঞ্চল্য ছড়ায় বন দফতরেও। আঞ্চলিক বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মা জানিয়েছিলেন, চিতাবাঘ কালীর মল পরীক্ষা করে কিছু সরু হাড় ও লোম পাওয়া গিয়েছে। এর থেকেই অনুমান চিতাবাঘটি তার শাবককে খেয়ে ফেলেছে। নিশ্চিত হওয়ার জন্য উদ্ধার হওয়া হাড় ও লোম ডিএনএ পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়। চিড়িয়াখানার এনক্লোজার থেকে চিতাবাঘের শাবক উধাওয়ের খবর সামনে আসতেই সরব হন পরিবেশ কর্মীরা। ঘটনার তদন্ত দাবি করেন তাঁরা।
তাই চিতাবাঘের শাবক প্রসবের খবরে বাড়তি সতর্ক ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। ২ অক্টোবর থেকে পার্ক খোলার কথা। পরে ধীরে আস্তে দর্শকদের সামনে আনা হবে চিতাবাঘের এই শাবকদের।