Latest News

গভীর রাতে অন্ডালে ধস, ইসিএলের পরিত্যক্ত আবাসনের নীচে চাপা পড়লেন মহিলা

শুক্রবার গভীর রাতে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রায় বারশো বর্গমিটার জুড়ে বিরাট ধস নামে। হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসন। পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও একটি পরিবারের ছ’জন ওই আবাসনেই বাস করছিলেন।

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: শুক্রবার রাত একটা নাগাদ বিরাট ধস নামে পশ্চিম অন্ডালের কাজোড়ার জামবাদ এলাকায়। মাটির নীচে চলে যায় ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসন। একটি পরিবারের ছ’জন সদস্য সেখানে থাকতেন। সবাই নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে পারলেও খোঁজ মিলছে না এক মহিলার।

শুক্রবার গভীর রাতে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। প্রায় বারশো বর্গমিটার জুড়ে বিরাট ধস নামে। হুড়মুড়িয়ে ধসে পড়ে ইসিএলের একটি পরিত্যক্ত আবাসন। পরিত্যক্ত ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও একটি পরিবারের ছ’জন ওই আবাসনেই বাস করছিলেন। গভীর রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন তাঁরা। বিকট শব্দে ঘুম ভাঙতেই বিপদ বুঝে সবাই ছুটে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু এক মহিলা ঘরের মধ্যে আটকে পড়েন। সেই অবস্থাতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে আবাসন। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল উদ্ধারের কাজ শুরু করলেও এখনও খোঁজ মেলেনি শাহনাজ বানো নামে ওই মহিলার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনা ঘটার প্রায় সাত ঘণ্টা পরে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। তাই আতঙ্কের পাশাপাশি উত্তেজনাও সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। ধসে  আশেপাশের প্রায় ১৫ টা আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে শনিবার সকালে পান্ডবেশ্বর এলাকার বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘটনাস্থলে পৌঁছন।  তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষকে পুনর্বাসন দিতে বলা হচ্ছে ইসিএলকে। কিন্তু ইসিএল আধিকারিকরা ব্যস্ত কয়লা উত্তোলন ও তা অবৈধভাবে বিক্রির  কাজে। মানুষের জীবনের কোনও দামই নেই তাঁদের কাছে।’’

ইসিএলের কাজোড়া এলাকার জিএম জে সি রায় জানান ২০১৫ সালে খনিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয় এবং এলাকার আবাসনগুলোকেও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সঙ্গে সবাইকে আবাসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই এই সব আবাসন দখল করে থেকে গিয়েছেন। পুনর্বাসন এবং মহিলাকে উদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার মানুষ।

রানিগঞ্জ-বরাকরের কয়লাখাদান এলাকা বরাবরই ধসপ্রবণ। বর্ষা নামলে এই সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তাই বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকেন খাদান এলাকার মানুষ। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, অবৈধ কয়লাখনির রমরমা ধসের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি এখন সরকারি কয়লাখনিতে ওপেন কাস্ট মাইনিংয়ের জন্য এলাকায় যখন তখন ধস নামছে। কিন্তু ইসিএল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন। এদিনও নিখোঁজ মহিলাকে উদ্ধার ও পুনর্বাসনের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভ হয়।

You might also like