
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে এদিন রাত প্রায় ন’টা নাগাদ পাড়ার চার যুবক মিঠু মাইতি, প্রমথ মাইতি, কালী নস্কর ও বাবু নস্কররা এলাকায় মদের আসরের বসে আকন্ঠ মদ পান করে। এরপরেই শুরু হয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। মহিলাদের সামনে এমন গালিগালাজ করতে দেখে তাদের বাধা দেন স্থানীয় যুবক বসুদেব রায়। আর তাতেই বসুদেবের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। ব্যাপক মারধের করে তাঁকে। পরে একটি বিদ্যুতের খুঁটির গায়ে জাপটে ধরে প্রতিবাদী যুবকের গলায় লাঠি দিয়ে চেপে ধরে। ওই যুবকের চিৎকারে পাড়ার লোকজন বেরিয়ে আসেন। বেরিয়ে আসেন ওই যুবকের বৌদি সবিতা রায়ও।
মদ্যপ চার যুবক তাঁর দেওরকে বেধড়ক মারধর করছে দেখে বাধা দিতে এগিয়ে যান সবিতা। অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবাদী যুবককে ছেড়ে দিয়ে ওই বধূর উপর লাঠি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই চার দুষ্কৃতী। তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে তারা। লাঠির আঘাতে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সবিতা। সেই অবস্থাতেই গালিগালাজ করতে করতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।
এলাকার মানুষজন সবিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই বধূর আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছেন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকরা।
ওই বধূর স্বামী মদন রায় মদ্যপ যুবকদের বিরুদ্ধে বাসন্তী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাসন্তী থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ওই দুষ্কৃতীরা সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সোমবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার মানুষ।