Latest News

৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে তৎপরতা, উত্তরকন্যায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

জলপাইগুড়ির ডিভিশনাল কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্ধন জানান, ৭২ ঘণ্টা সর্বোচ্চ সময়ের মধ্যেই মিলবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। রোগীকে জানিয়ে দেওয়া যাবে তিনি আক্রান্ত কি না।

দ্য ওয়াল ব্যুরো, শিলিগুড়ি: ৭২ ঘণ্টা। এই সর্বোচ্চ সময়ের মধ্যেই মিলবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। রোগীকে জানিয়ে দেওয়া যাবে তিনি আক্রান্ত কি না। তবে নেগেটিভ হলে আরও আগেই তা জানিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। সোমবার উত্তরকন্যায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে এ কথা জানান জলপাইগুড়ির ডিভিশনাল কমিশনার অজিতরঞ্জন বর্ধন।

তিনি জানান, উপসর্গহীন কিংবা শারীরিকভাবে সুস্থ করোনা আক্রান্তদের আলাদাভাবে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা্ করা হবে। এর জন্য আরও একাধিক হাসপাতালের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনার পরীক্ষা বাড়াতে মেডিক্যালের ভিআরডি ল্যাবে আরেকটি আরটিপিসিআর মেশিন আনা হবে বলেও তিনি জানান।

নমুনা পরীক্ষা দ্রুত করার বিষয়টি এদিনের আলোচনায় উঠে আসে। কারণ এ নিয়ে প্রতিদিনই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ আসছে। জানা গেছে এক সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কোয়ারেন্টিন সেন্টার থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডি ল্যাবে পাঠানো হয়। একসঙ্গে এত নমুনা জমা পড়ায় রিপোর্ট দিতে দেরি হয়। ইতিমধ্যে দু’হাজার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে বাকি থাকা আরও তিন হাজার রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আর রিপোর্ট আটকে থাকবে না বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

সোমবার উত্তরকন্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গে করোনা চিকিৎসার জন্য নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্ত রায়, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৌশিক সমাজদার, দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য-সহ স্বাস্থ্য দফতরের অন্যান্য আধিকারিকরা।

এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতিদিন এখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা  লালারসের ৮৫০ স্যাম্পল পরীক্ষা হবে। তার মধ্যে কোচবিহারের ২০০, জলপাইগুড়ির ২০০, দার্জিলিংয়ের ১৮০, আলিপুরদুয়ারের ১৫০, কালিম্পং ৭০ ও  ইসলামপুরের ৫০টি স্যাম্পেল পরীক্ষা হবে। ডিভিশনাল  কমিশনার বলেন, ‘‘‌অনেক রোগী রয়েছেন যাঁদের শরীরে করোনার কোনও লক্ষণ নেই। নিয়মিত নজরদারি ও পুষ্টিকর খাবার দিলে তাঁরা সেরে উঠতে পারেন। এই উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের রাখার জন্য আলাদা করে হাসপাতাল খোঁজা হচ্ছে। সেখানে রেখে সুস্থ করে তাঁদেরকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’‌‌

দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক জানান, তাঁরা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বাড়ানোরও চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে ঠিক করা ৭২টি কোয়ারেন্টাই‌ন সেন্টারে ভিনরাজ্য ফেরত মানুষদের রাখা হবে।

You might also like