
ভরা কোটালে ভাঙল নদীবাঁধ, গোসাবায় প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম
কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল জানিয়েছেন ‘‘কোটালের জেরে নদীতে জল বেড়ে যায়। সেই জলোচ্ছ্বাসেই ভেঙে পড়ে নদীবাঁধ। এলাকার প্রায় ৫০০ বিঘা জমির ধান নদীর লবনাক্ত জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার ৯৪ টি পুকুরের লবণাক্ত জল ঢুকে পড়ায় মিষ্টি জলের সমস্ত মাছ মারা গিয়েছে।’’
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভরা কোটালের প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গেল সারসা ও কোরানখালি নদীর সংযোগস্থলের বাঁধ। প্লাবিত হল গোসাবা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার রাতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল কুমিরমারি ভাঙনঘাট, বৈদ্যপাড়া, মাঝেরপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। জোয়ারের জল ঢুকে চাষের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে মাছ চাষেরও। রাতে জল ঢুকছে টের পেয়েই গ্রামবাসী ও সেচ দফতরের কর্মীরা অন্ধকারেই তড়িঘড়ি নদীবাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগান।
কুমিরমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস মণ্ডল জানিয়েছেন ‘‘কোটালের জেরে নদীতে জল বেড়ে যায়। সেই জলোচ্ছ্বাসেই ভেঙে পড়ে নদীবাঁধ। এলাকার প্রায় ৫০০ বিঘা জমির ধান নদীর লবনাক্ত জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার ৯৪ টি পুকুরের লবণাক্ত জল ঢুকে পড়ায় মিষ্টি জলের সমস্ত মাছ মারা গিয়েছে।’’
২০০৯ সালের ২৫শে মে ঘূর্ণিঝড় আয়লা আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবনের উপর। হাজার হাজার বাড়ি, গবাদি পশু ও বহু মানুষ ভেসে গিয়েছিল জলের তোড়ে। মাস চারেক আগেই তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় উমফান। সেই সব স্মৃতি এখনও টাটকা সুন্দরবনবাসীর মনে। এরই মধ্যে সোমবার রাতে ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসে সারসা ও কোরাণখালি নদীর সংযোগস্থলের বাঁধ ভেঙে নোনা জল গ্রামে ঢুকে প্লাবিত হল গোসাবার বিস্তীর্ণ এলাকা। নদীর নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘যেমন তেমন করে বাঁধ মেরামতির ফলেই এই ঘটনা। বাঁধগুলি এত দুর্বল যে সামান্যতম সঙ্কটও সামাল দিতে পারে না। যেনতেন প্রকারে সরকার উদ্যোগ নিয়ে শক্তপোক্ত বাঁধ তৈরি করুক। তাহলেই একমাত্র বাঁচতে পারেন সুন্দরবনের মানুষ।’’