
গুলি চালানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল, রায়গঞ্জ আদালতে যাওয়ার পথে দাবি অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানের
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সীমান্তে প্রহরারত অবস্থায় নিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে দুই সহকর্মীকে গুলি করে খুন করে ১৪৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের মালদাখন্ড সীমান্ত চৌকির বিএসএফ জওয়ান উত্তম সূত্রধর। তারপরেই রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে অভিযুক্ত জওয়ানকে তুলে দেয় বিএসএফ এর ১৪৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের মালদাখন্ড সীমান্ত চৌকির কম্যান্ডার।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ সীমান্তে প্রহরারত অবস্থায় নিজের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে দুই সহকর্মীকে গুলি করে খুন করে ১৪৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের মালদাখন্ড সীমান্ত চৌকির বিএসএফ জওয়ান উত্তম সূত্রধর। রায়গঞ্জ থানার ভাতুন গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর মালদাখন্ড সীমান্ত চৌকিতে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান উত্তম সূত্রধরের গুলিতে মৃত্যু হয় বিএসএফ এর ইন্সপেক্টর মহিন্দর সিং ভাট্টি ও কনস্টেবল অনুজ কুমারের। মহিন্দর সিং ভাট্টি অমৃতসরের বাসিন্দা। নিহত বিএসএফ কনস্টেবল অনুজ কুমারের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। গুলি করে তাঁদের হত্যা করার পরে নিজেই সীমান্ত চৌকির কম্যান্ডারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত জওয়ান উত্তম সূত্রধর।
এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ওই সীমান্ত চৌকিতে। মঙ্গলবারই রায়গঞ্জ থানার পুলিশের হাতে অভিযুক্ত জওয়ানকে তুলে দেয় বিএসএফ এর ১৪৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের মালদাখন্ড সীমান্ত চৌকির কম্যান্ডার। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার রায়গঞ্জ আদালতে তোলা হয় তাঁকে। ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে ৩০২/২৫/২৭ ধারায় মামলা রুজু করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। তদন্তের জন্য ধৃত বিএসএফ জওয়ানকে ৮ দিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
২০১৭ সালে গোড়ার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদব। সে সময় তিনি জম্মু-কাশ্মীরে কর্মরত ছিলেন। খাবারের ছবি দেখিয়ে ফেসবুক ভিডিওয় তিনি দাবি করেছিলেন, বিএসএফ জওয়ানদের অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। সেই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয় এবং গোটা দেশে বিতর্কের ঝড় ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে বিএসএফ জওয়ানের অভিযোগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিএসএফ-এর কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। দিল্লি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। তবে শেষমেশ তেজবাহাদুরের আনা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে বিএসএফ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ না জানিয়ে তেজবাহাদুর সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানানোয়, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ ওঠে এবং তাঁকে বিএসএফের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।