
জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু করোনার গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হওয়ায় এই ১১ জনের পক্ষে অবস্থা সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠছে। তাই নতুন করে আরও আটজন ডাক্তারকে নিয়ে আসা হল। সোমবার কাজে যোগ দিলেন ৫ জন চিকিৎসক। আরও তিনজন যোগ দিলে সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা হবে ১৯। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট, ফিজিশিয়ান, সার্জেন, আই স্পেশালিষ্ট, রেডিওলজিস্ট।
উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায় জানান, জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে আগে থেকে ১১ জন চিকিৎসক ছিলেন। নতুন করে যে আট জন চিকিৎসক যোগ দিলেন, তাঁরা আগে কোনও না কোনও সময় জলপাইগুড়ি শহরে চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ আবার অন্য কোনও কারণে জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি এঁদের মতামত চাওয়া হলে প্রত্যেকেই জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘‘মোট আটজন চিকিৎসকের মধ্যে পাঁচজন ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। আরও ৩ জন কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে এর মধ্যেই কাজে যোগ দেবেন। এরফলে শুধুমাত্র জলপাইগুড়ি কোভিট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাওয়া যাবে মোট ১৯ জন চিকিৎসককে। এতে এই হাসপাতালে আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া যাবে বলেই মনে করছি আমরা।’’ করোনা মোকাবিলায় জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভেন্টিলেটর, ডাইলেসিস মেশিন সহ অন্যান্য লজিস্টিক বাড়িয়ে এই হাসপাতালকে লেভেল ফোরে উন্নীত করা হয়েছে।
জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়ে চিকিৎসক দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, ‘‘আমি এই শহরেরই ছেলে। জলপাইগুড়ি শহরেই আমি বড় হয়েছি। পড়াশোনা করেছি। সংকটের সময় এখানকার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভাল লাগছে। একইসঙ্গে সবাইকে বলতে চাই, করোনা মানেই মৃত্যু নয়। করোনা হলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ারও কিছু নেই। আমরা সবাই সামনে থেকে দাঁড়িয়ে এর মোকাবিলা করছি। করোনাকে হারাতেই হবে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের খবর, জলপাইগুড়িতে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থতার হারও অনেকটাই বেশি। ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রোগী ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। যাঁরা এখন হাসপাতালে আছেন তাঁরাও সুস্থ হওয়ার পথে।