নিজেরা করোনা পজেটিভ হতেই বর্ধমানে হেনস্থার শিকার করোনা যোদ্ধা চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রী
ওই দম্পতির অভিযোগ, পাড়ার মানুষের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের অচ্ছুৎ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনকী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেউ দিতে এলে তাঁদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে। ওই দম্পতি জানান, তাঁদের গাড়ির চালক গত কয়েক দিন ধরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়ির বাইরে রেখে দিচ্ছিলেন। তাকেও হুমকি দেওয়া হয়।
গত ৩০ জুলাই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে এই দুই কোভিড যোদ্ধার। তারপর থেকে চিকিৎসকদের বিধান মেনে হোম আইসোলেশনে আছেন এই দম্পতি। অভিযোগ, তাঁরা করোনা পজেটিভ এ কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কিছু প্রতিবেশীর চূড়ান্ত অসহযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছেন ওই দম্পতি। দুজনেই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। গত চার মাস যাবৎ সামনে থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে এসেছেন তাঁরা। পালন করেছেন নিজেদের দায়িত্ব। গত ৩০ জুলাই কোভিড সংক্রমণের শিকার হওয়ার পরেই আশেপাশের মানুষের ব্যবহার দেখে স্তম্ভিত তাঁরা।
ওই দম্পতির অভিযোগ, পাড়ার মানুষের কাছ থেকে কোনও সহযোগিতা পাচ্ছেন না তাঁরা। তাঁদের অচ্ছুৎ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনকী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেউ দিতে এলে তাঁদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে। ওই দম্পতি জানান, তাঁদের গাড়ির চালক গত কয়েক দিন ধরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়ির বাইরে রেখে দিচ্ছিলেন। তাকেও হুমকি দেওয়া হয়।
পুলিশে অভিযোগ জানালে বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান থানার পুলিশ আসে। থানার এক আধিকারিক জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। বিষয়টি তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি বলেই জানা গেছে। খুবই হতাশ ওই চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রী সামাজিক মাধ্যমে এই অবিচারের কথা তুলে ধরেন। এতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজার শহরে। জীবন বাজি রেখে যাঁরা সামনের সারিতে থেকে এতদিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন তাঁদের কি এটা প্রাপ্য? প্রশ্নটা নাড়া দিয়ে যাচ্ছে অনেককেই।