
মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তুমুল আতঙ্ক গলসির গ্রামে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ১
রবিবার রাতে আচমকা বিস্ফোরণের শব্দে হকচকিয়ে যান গ্রামের মানুষজন। বারুদের গন্ধে ভরে যায় গোটা গ্রাম। পুকুর সহ চারিদিকে ছিটকে পড়ে কাঠ। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ যায়। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ঘটনায় পরই ফটিক শেখকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার রাতে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠেছিল এলাকা। তবে ঠিক কতগুলি বোমা সেখানে মজুত ছিল তা এখনও জানা যায়নি। পুরো বিষয়টাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে এমন ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এই গ্রামেই গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বাথরুমের দেওয়াল ও টিনের চালাঘরটি কার্যত মাটিতে মিশে যায়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে স্কুল বন্ধ থাকায় হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। মজুত বোমাতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সে বারও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। তবে সেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আজও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
গ্রামবাসীদের অনুমান এদিনও মজুত বোমাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গলসি থানার পুলিশ। গ্রামের বাসিন্দা সুতুন চৌধুরী বলেন “আমরা কয়েকজন গতরাতে বসে গল্প করছিলাম। তখনই এই ঘটনা ঘটে। বিরাট আওয়াজ হয়। আমরা আতঙ্কিত।” ভোটের আগে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির রঙ লেগেছে।
স্থানীয় বিজেপি নেতা রাজু পাত্র দাবি করেন, “ফটিক শেখ সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। মানুষকে ভয় দেখাতেই শাসকদল বোমার রাজনীতি করছে।” জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এই তত্ত্বেই শিলমোহর দিয়েছেন। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের টাকার বখরা নিয়ে ওই এলাকায় শাসকদলের নিজেদের গোলমাল আছে। গোটা জেলাতেই শাসকদল মানুষকে ভয় দেখানোর খেলায় নেমেছে।”
এইসব অভিযোগ পুরো অস্বীকার করেছেন জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “ফটিক শেখ আমাদের কর্মীই নয়। তাকে আমরা চিনি না। সমর্থক হতে পারে। তৃণমূল বোমার রাজনীতি করে না। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক কে দোষী। তৃণমূলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিক। সেটাই চাই আমরা। তৃণমূল না বিজেপি পুলিশ দেখছে। বিজেপি নেতাদের মিথ্যা অভিযোগ করা এখন রোজকার ঘটনা।”