
ভোটের আগে বিজেপির বুথ সভাপতির উপর হামলার নালিশ হরিণঘাটায়, রাতভর থানা ঘেরাও
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: আগামীকাল রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট। ভোট নেওয়া হবে হরিণঘাটা-সহ নদিয়ার আটটি বিধানসভা এলাকায়। ঠিক তার আগেই তেতে উঠল হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বৈকারা অঞ্চল। নববর্ষের দিন বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে জখম বুথ সভাপতিকে স্যালাইন দিয়েই রাতভর থানা ঘেরাও করে রাখলেন বিজেপির কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বৈকারা গ্রামের ২০৩ নম্বর বুথ সভাপতি হারান মণ্ডল। বাড়ি ফেরার পথে রাতে তাঁকে মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আহত বুথ সভাপতিকে স্যালাইন দিয়ে শুয়ে রেখেই রাত থেকে শুরু হয় হরিণঘাটা থানা ঘেরাও।
বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রাজীব হাজরা জানান, ঝামেলার সূত্রপাত হয় এ মাসের সাত তারিখ। বাড়ির সামনেই পতাকা লাগাচ্ছিলেন হারান মণ্ডল। বৈকারা ২০৩ নম্বর বুথের সভাপতি তিনি। অভিযোগ, সেই সময় এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থক তাঁকে মারধর করে। প্রাথমিকভাবে থানাকে জানালেও থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে হারানবাবু বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের সন্ত্রস্ত করে রাখতেই এমন হামলা। তবে এতে কোনও লাভ হবে না।”
ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। হারান মণ্ডলের অনুগামীরা ছুটে আসেন। থানার বাইরে গেটের মুখে মারধরে জখম হারানবাবুর স্যালাইন চালু করেন তাঁরা। তারপর শুরু হয় বিক্ষোভ।
তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতা চঞ্চল দেবনাথ জানান, বৈকারা অঞ্চল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। বিজেপি এখানে পরিকল্পিতভাবে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। রাস্তাতে পরে গিয়ে আহত হয়েছে হারান মণ্ডল। তা নিয়েও রাজনীতি করছে বিজেপি।