Latest News

শ্রমিকের আকাল, যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে আলু বসাচ্ছেন শক্তিগড়ের চাষিরা

করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক পাওয়া এখন বড় সমস্যা। অপ্রতুল শ্রমিকের জন্য চাষিরা বহু ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে আলুচাষ করে উঠতে পারেন না। ফলে ফলনে মার খান। কিন্তু মেশিন দিয়ে আলু বসালে শ্রমিক লাগে না বললেই চলে।

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: হারভেস্টার বা ধানকাটা মেশিন দিয়ে ধান কেটে উপকৃত হচ্ছেন চাষিরা। এবার জমিতে আলু বসাতেও মেশিনের সাহায্য নিচ্ছেন শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের আলু চাষিরা।

বেশ কয়েক বছর ধরেই খরিফ ও বোরোচাষের ধান হারভেস্টার দিয়ে কাটা হচ্ছে। এতে অল্প সময়ে এবং কম শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার কাজ শেষ করতে পারছেন চাষিরা। ফলে লাভের অঙ্ক বাড়ছে। লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। তাই এবার আলু চাষেও যন্ত্র কাজে লাগানোর উদ্যোগ। জেলার শক্তিগড় এলাকার চাষিরা এবার জমিতে আলু বসাচ্ছেন মেশিনের সাহায্য নিয়ে। আলুচাষি পরেশ দাস বলেন, ‘‘মেশিনে আলু বসালে উৎপাদন ভালো হয়। বীজআলু খুব ভালো ভাবে মাটি দিয়ে ঢাকা দেওয়া হয়। ফলে গাছে আলু ধরলে তা সবুজ হবে না। জমিতে সেচ দেওয়ার সুবিধা হয়। তাছাড়া মেশিনে আলু বসানের জন্য একটি আলু গাছের সঙ্গে আর একটি আলু গাছের দূরত্ব সমান থাকে।’’

করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক পাওয়া এখন বড় সমস্যা। অপ্রতুল শ্রমিকের জন্য চাষিরা বহু ক্ষেত্রে ঠিক সময়ে আলুচাষ করে উঠতে পারেন না। ফলে ফলনে মার খান। কিন্তু মেশিন দিয়ে আলু বসালে শ্রমিক লাগে না বললেই চলে।

শক্তিগড়ের এক আলুচাষি সেখ নজরুল বলেন, ‘‘আলু বসানো মেশিনে ঘণ্টায় দু’বিঘে জমিতে আলু বসানো হচ্ছে। এতে সময়ও বাঁচছে। আবার শ্রমিকের সমস্যা থেকে চাষিরা মুক্তিও পাচ্ছেন। আমরা চাই হারভেস্টারের মতোই সরকার আলু বসানো মেশিনের প্রতিও আগ্রহ তৈরি করুর। তাহলে চাষিরা আলু বসানোর কাজে অনেক বেশি সুবিধা পাবেন।’’

রাজ্যে ধান উৎপাদনে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রথম। আলু উৎপাদনে জেলার স্থান দ্বিতীয়। হুগলি জেলার পরই আলু উৎপাদনে পূর্ব বর্ধমান জেলার স্থান। আলু চাষে যন্ত্র ব্যবহার করে উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব বলেই মনে করছেন জেলার চাষিরা।

You might also like