
রাজগঞ্জ ব্লকের ভান্ডারীগছ এলাকার ১৩ জন সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মী এক মাসের ওপর ঘরছাড়া ছিলেন। সাংসদ জয়ন্তকুমার রায়ের অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কথা বলার পর শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁদের বাড়ি ফেরাতে যান। ওই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তিনি। গুরুতর জখম হন আরও দুজন। প্রতিশ্রুতি দিলেও সে সময় পুলিশ তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি বলে জানান তিনি।
সাংসদ বলেন, ‘‘আমাদের ঘরছাড়া কর্মীদের ঘরে ফেরানোর জন্য অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই প্রশাসনের সাহায্য পাচ্ছিলাম না। এবার প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিল। কিন্তু আজ যখন ভান্ডারীগছে ঢুকতে যাই, তখনই পুলিশ কিছুটা গিয়ে আর এগোয়নি। এরপরেই তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করে। আমাকেও মারধর করে তারা।’’
বিজেপি সাংসদের উপর হামলার যাবতীয় অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘‘এটা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের দায় আমাদের উপর চাপাচ্ছে বিজেপি।’’