Latest News

৩০ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হয়ে চোখে জল জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজের অধ্যক্ষের

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১২ টা থেকে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল বি-ফার্মের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু তার আগেই সোমবার সকাল থেকে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ৬২ জন পরীক্ষার্থী।

দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: প্রায় ৩০ ঘণ্টা ঘেরাও চলার পর ঘেরাও উঠল জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লিখিত পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একই পদ্ধতি মেনে তাঁদেরও রেজাল্ট বের করা হবে এই আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও তুললেন জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজের আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। ঘেরাও মুক্ত হয়ে আবেগে চোখের জল অধ্যক্ষ সৌরভ সিনহা রায়ের।

ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১২ টা থেকে পরীক্ষায় বসার কথা ছিল বি-ফার্মের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের। কিন্তু তার আগেই সোমবার সকাল থেকে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ৬২ জন পরীক্ষার্থী। তাঁদের দাবি ছিল লিখিত পরীক্ষা বাতিল করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ৮০ এবং ২০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হোক। ৮০ নম্বর আগের বছরের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে এবং ২০ নম্বর অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে।

কলেজের অধ্যক্ষ এবং অধ্যাপকদের ঘরে আটকে চলে বিক্ষোভ। লিখিত পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সোমবার রাতে তাঁরা কলেজ গেটের সামনে আন্দোলন চালাতে থাকেন। রাতভর কলেজেই আটকে থাকেন অধ্যক্ষ সৌরভ সিংহ রায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে পুলিশও। এরইমধ্যে পরীক্ষা দিতে আসা এক ছাত্রের শরীরে কোভিডের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা স্থগিতের কথা ঘোষণা করেন জলপাইগুড়ি ফার্মাসি কলেজের অধ্যক্ষ সৌরভ সিনহা রায়।

সৌরভবাবু জানান, যা পরিস্থিতি তাতে পরীক্ষা নেওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষা দিতে আসা সমস্ত ছাত্রছাত্রীর অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি লিখেছি। পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জেলাশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয়কেও লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি।’’

অধ্যক্ষ নোটিস দেওয়ার পরেও কিন্তু আন্দোলন জারি রাখে ছাত্রছাত্রীরা। পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে এই মর্মে লিখিত দিক স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনটাই দাবি করতে থাকেন তাঁরা। তন্ময় তন্ত্র নামে ফাইনাল ইয়ারের এক ছাত্র বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। সবাই অনলাইন পরীক্ষা নিচ্ছে। আমাদের বেলায় অন্য নিয়ম কেন? এই অবস্থায় অধ্যক্ষ নোটিস দিয়েছেন কলেজে আন্দোলনের জন্য পরীক্ষা নিতে পারছেন না। কিন্তু আমরা চাইছি হেলথ ইউনিভার্সিটি পরীক্ষা বাতিল করা হল, এই মর্মে লিখিত দিক। নইলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’’

সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে আশ্বাস পেয়ে ঘেরাও আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন ছাত্ররা।

You might also like