
মিল ধান কেনা বন্ধ করতেই চাষিদের বিক্ষোভ ভাতারে, বর্ধমান-কাটোয়া রোড অবরোধ
বুধবার সকালে মিল মালিক কৃষকদের জানায় তাঁরা আর সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে পারবেন না। ব্লক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় চাষিদের। কৃষকদের দাবি, তাঁরা তিন দিন ধরে ধান বোঝাই ট্রাক নিয়ে মিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পাওনাদাররা বারবার টাকার জন্য বাড়িতে আসছেন। অবিলম্বে ধান কিনতে হবে মিল মালিকদের।
বুধবার সকালে মিল মালিক কৃষকদের জানায় তাঁরা আর সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে পারবেন না। ব্লক অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় চাষিদের। কৃষকদের দাবি, তাঁরা তিন দিন ধরে ধান বোঝাই ট্রাক নিয়ে মিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পাওনাদাররা বারবার টাকার জন্য বাড়িতে আসছেন। অবিলম্বে ধান কিনতে হবে মিল মালিকদের। এই দাবিতেই এদিন পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লক অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকার কৃষকরা।
খাদ্য দফতরের আধিকারিক দয়াময় গোস্বামী চাষিদের জানান, তাঁদের কাছে অভিযোগ এসেছিল মিলে ধানের দাম কম দিচ্ছে ও ধান বেশি পরিমাণ বাদ দিচ্ছে। তাই তাঁরা বলেছিলেন চাষিদের অসুবিধা হলে তাঁরা কিষান মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে পারেন। চাষিদের যদি তাতে আপত্তি থাকে তাহলে চাষিরা যেখানে ইচ্ছা ধান বিক্রি করতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত খাদ্য আধিকারিকের আশ্বাসে পথ অবরোধ তুলে নেয় চাষিরা। এলাকার চাষি শেখ সবুর বলেন, ‘‘আমরা মিলে সঠিক দাম পাচ্ছি, তাই আমরা মিলেই ধান বিক্রি করতে চাই।’’ ভাতারের মাহাতা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত ঘোষ বলেন, ‘‘আগের মতই রাইসমিলে ধান বিক্রি করতে দিতে হবে।’’ একই দাবি তুলসিডাঙার বাসিন্দা সাইদর রহমানের।
এবছরের শুরু থেকেই সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে গণ্ডগোল চলছে গোটা জেলায়। গলসিতেও রাস্তা অবরোধ করেন চাষিরা। সপ্তাহ খানেক আগে গলসির একটি রাইসমিলের সামনে রাস্তা কেটে দেন এলাকার চাষিরা। তাঁরা দাবি করেন রাইসমিল কর্তৃপক্ষ সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনছে না। আউশগ্রামের গুসকরাতেও সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, মাণ্ডিতে ধান নিয়ে নিদিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন কৃষকরা।
এদিন অবশ্য প্রশাসনের আশ্বাসে ফের নতুন করে মিলে ধান কেনা শুরু হয় ভাতারে। এদিকে আধ ঘন্টার অবরোধের জেরে বর্ধমান-কাটোয়া রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বাস সহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে। ভাতার থানার পুলিশের তৎপরতায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।