
করোনার আবহেও টোল আদায়ের প্রতিবাদে নকশালবাড়িতে বিক্ষোভ বাস মালিকদের
বাস মালিক ও চালক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা জানান, এর আগে তাঁরা তাঁদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন। তখন টোল গেট কর্তৃপক্ষ আলোচনা বসার কথা বললেও এখনও সেই বৈঠক হয়নি। কর্তৃপক্ষ শুধু ছোটো গাড়ি ও টাটা ম্যাজিক গাড়ির মাসিক টোল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাস নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, শিলিগুড়ি: করোনা রুখতে লকডাউন চলায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়ির চলাচল। ফলে ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাস ও গাড়ির মালিকরা। এখন আনলক পর্ব শুরু হলেও তেমন ভিড় নেই রাস্তায়। বাসে যাত্রী সংখ্যাও হাতেগোনা। তাই সেই ক্ষতি পুরোপুরি পুষিয়ে উঠতে পারেননি তাঁরা। গোটা রাজ্যেই ছবিটা এক। ব্যতিক্রম নন শিলিগুড়ি মহকুমার বাস চালকরাও। তারপরও রাস্তায় যে সমস্ত বাস চলছে তাদের থেকে নেওয়া হচ্ছে পুরনো হারে টোল ট্যাক্স। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার নকশালবাড়িতে টোলগেটে বাস দাঁড় করিয়ে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন বাস চালকরা।
এই ঘটনায় এদিন দুপুরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় নকশালবাড়ির সাতভাইয়াতে। এখানে এশিয়ান হাইওয়ের উপরে টোল গেট করা হয়েছে। সেই টোল গেট করোনার মধ্যেও খোলা। তাই এদিন ২০টি বাস পরপর দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাস মালিক ও কর্মচারীরা। টোলগেটে এই বিক্ষোভের জেরে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়েন অন্যান্য গাড়ির যাত্রীরা।
বাস মালিক ও চালক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সদস্যরা জানান, এর আগে তাঁরা তাঁদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন। তখন টোল গেট কর্তৃপক্ষ আলোচনা বসার কথা বললেও এখনও সেই বৈঠক হয়নি। কর্তৃপক্ষ শুধু ছোটো গাড়ি ও টাটা ম্যাজিক গাড়ির মাসিক টোল নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাস নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাস মালিকরা বলেন, ‘‘করোনার আবহে বাসে এমনিতেই যাত্রী নেই। কখনও খালি বাস নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু তারপরেও ৮৫ টাকা টোল দিতে হয় এখানে। তাতে আমাদের হাতে আর কিছুই থাকছে না। সংসার চালাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে।’’
তাঁদের বক্তব্য, বাস রাস্তায় নামিয়ে এখন শুধু প্রতিদিনের চাল–ডালের খরচ উঠছে। তাই টোল ট্যাক্স মুকুব কিংবা মাসে এককালীন টোল ট্যাক্স দেওয়া ব্যবস্থা করার দাবি জানান তাঁরা। এই সমস্যা সুরাহা না হলে ফের আন্দোলন করা হবে বলে হুমকি দেন। নকশালবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অবরোধ মুক্ত করে টোলগেট।