
কুর্মী নেতারা এও জানান, আগামী ১৫ ই ডিসেম্বর তাঁদের দাবির নিষ্পত্তির সম্পর্কে যদি সরকারে কোনও ইতিবাচক মনোভাব না দেখায় তাহলে ১৬ ডিসেম্বর তাঁরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বৃহত্তম আন্দোলনে নামতে পারে।
‘দিয়াকে দিয়া, নাই দিয়াকে হুড়কা দিয়া’ এই স্লোগান দিয়ে মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের অফিসের বাইরে ২৬ দফা দাবিকে সামনে রেখে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিল কুর্মি সমন্বয় মঞ্চ। অর্থাৎ ‘দেবেন তো দিন, না দিলে আমরা মুখ ফিরিয়ে নিলাম।’ কিন্তু অবস্থান বিক্ষোভ চার দিনে পা দিলেও সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আমরণ অনশনের পথে যান কুর্মি সমন্বয় মঞ্চের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে থেকে শুরু হয় অনশন। শুক্রবার অনশন মঞ্চে মেডিক্যাল টিম বসানোর দাবিতে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করেছিল কুর্মী সমন্বয় মঞ্চের নেতৃত্ব এবং সর্মথকরা।
তাঁদের দাবির মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দাবি হল কুর্মী জাতিকে তফশিলি তালিকাভুক্ত করা, কুরমালি ভাষার অষ্টম তফসিলি অন্তর্ভুক্তিকরণ, এবং ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রঘুনাথ মাহাতর নামে নামকরণ করা।