
সূত্রের খবর, বিজেপি কমিশনের কাছে ভোট পিছনোর দাবি তুলতে পারে। বস্তুত দিন সাতেক আগেই তারা এই দাবি তুলেছে। কিন্তু তৃণমূল ও বামেরা তখন সায় দেয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব কলকাতা পুরভোটে বিপর্যয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় নিতে চাইছে। তারা মনে করছে, এখন ভোট বলে তৃণমূল তো বটেই, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গেও তাদের পেরে ওঠা কঠিন হতে পারে।
অন্যদিকে, তৃণমূল চাইছে, চলতি হাওয়ায় বাকি পুরসভাগুলির ভোট করিয়ে নিতে। মজার ব্যাপার হল, কলকাতা পুরসভায় ভোট প্রাপ্তির অঙ্কে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দিয়ে বামেরাও এখন শাসক দলের মতোই ভোট পিছনোর ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয়। দিন সাতেক আগেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েদেন তারা ভোট পিছনোর পক্ষপাতী নন। তারা মনে করছে, কলকাতা পুরসভায় ভোট প্রাপ্তিতে যে আশার আলো দেখা গিয়েছে সেটা গোটা রাজ্যের সাধারণ প্রবণতা। এই প্রবণতা জারি থাকতে থাকতে ভোট হলে বামেদের ফল তুলনামূলকভাবে ভালো হতে পারে। তবে সোমবার থেকে বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় ভোট নিয়ে কী অবস্থান নেওয়া হবে সে ব্যাপারে আজ অবস্থান জানাতে পারে সিপিএম। এরমধ্যে দিন তিনেক আগে সিপিএম নেতা রবীন দেব কমিশনকে চিঠি দিয়ে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভোট নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। ভোট পিছনোর দাবি করেননি।
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জোরালো দাবি তোলেন ভোট পিছতে হবে। বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরালো প্রচার চলছে ভোট পিছনোর পক্ষে।
গত সাতদিনে করোনা পরিস্থিতির পুরো বদল ঘটেছে। দ্রুত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। জারি হয়েছে গুচ্ছ বিধিনিষেধ, যা আজ সোমবার থেকে বলবৎ হচ্ছে। কমিশনের এক অফিসার বলেন, আমরা নজর রাখছি, বিধিনিষেধ আরোপের পর ভিড়ে কতটা রাশ লাগে। সেটা ঠিকঠাক হলে ভোটের প্রচারে আলাদা করে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া প্রচারে আরও কড়াকড়ি আরোপ করতে পারে কমিশন। জনসভা, পথসভা, পদযাত্রা ইত্যাদি বাতিল করে ভিড় এড়ানোর উপায় অবলম্বন করা যায় কিনা কমিশন তা খতিয়ে দেখবে। এই জন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করা রীতি, কমিশনের বাধ্যবাধকতা নয়। ফলে কমিশন মনে করলে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্ধারিত দিনেই ভোট করাতে পারে।