
বুধবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় প্রচার চলাকালীন জখম হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চক্রান্ত করে হামলার অভিযোগ ঘিরে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বুধবার রাত থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলাও উত্তাল হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা দশটা পর্যন্ত মেমারি-চুঁচুড়া রোডের জামালপুর থানার জৌগ্রামের আমড়া মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। যুব কংগ্রেস কর্মীদের পথ অবরোধ ও বিক্ষোভের জেরে এই সড়কপথে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষজনকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও অবরোধ তুলতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।
একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার প্রতিবাদে বাজেপ্রতাপপুরে বর্ধমান- কাটোয়া রোড অবরোধ করে তৃণমূলের বহু মহিলা কর্মী ও সমর্থক। এখানে বিক্ষোভে অংশ নেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর মা বীণা গাঙ্গুলী ও বাবা দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলীও। বীণাদেবী বললেন, ‘‘আমাদের সবার প্রিয় মুখ্যমন্ত্রীর উপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। দিকে দিকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তাই আমরাও এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছি।’’
বর্ধমানের আদি বাসিন্দা তাঁরা। মেয়ে অভিনেত্রী হওয়ায় তাঁরাও এখন মোটের উপর বর্ধমানের পরিচিত মুখ। এত বছরে তৃণমূলের হয়ে পথে নামতে কখনও দেখা যায়নি তাঁদের। বরং বাম ঘেঁসা বলেই পরিচিতি তাঁদের। তাই অবাক হচ্ছেন অনেকেই। এবার ব্যারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন তাঁদের জামাই অর্থাৎ শুভশ্রীর বর রাজ চক্রবর্তী। তাই নাকি শ্বশুর শাশুড়ির এমন তৎপরতা। এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তাঁদের। এলাকার যুব তৃণমূল নেতা নুরুল আলম বলেন,‘‘কেউ যদি আমাদের দলের হয়ে পথে নামেন তাহলে ক্ষতি কী!’’