
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভোটের রেজাল্ট বের হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, উত্তেজনা, হিংসার ছবি, আক্রমণের খবর। তবে এর মধ্যে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেন এই উত্তেজনার ছবিগুলো ভুয়ো। অন্যদিকে, বিটাউনের কঙ্গনার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে হিংসা ছড়ানোর জন্য। বাংলার এই বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি শেয়ার করেন বামঘনিষ্ঠ শ্রীলেখা মিত্রও।
শ্রীলেখা নিজে সোশ্যাল মিডিয়াতে এই অশান্তির ছবি শেয়ার করেন। কিন্তু অনেকেই দাবি করেন যে কঙ্গনার মতো হিংসা ছড়াচ্ছেন শ্রীলেখাও। আর তাতেই বেজায় রেগে যান অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। পালটা জবাবও দিয়েছেন তিনি। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন সমালোচকদের।
শ্রীলেখা মিত্র নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লিখেছেন, “যাঁরা আমি ফেক নিউজ ছড়াচ্ছি বলে লাফালাফি করছেন, একটু বলি আপনাদের- আমি ভেরিফাই না করে এই ধরণের করব না।” এরপরেই তিনি আরও লিখেছেন, “আর হ্যাঁ, আমি কোনও অঙ্গনা কঙ্গনা নই। আর বেশি বললাম না।”
অভিনেত্রী আরও একটি স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেন, এবং লেখেন, “যাঁরা আমার বিরুদ্ধে ফেক নিউজ ছড়াচ্ছি বলে অভিযোগ করে আমায় ‘এসকর্ট’ বলতেও দু’বার ভাবছেন না। তারাই ফেক নিউজ ছড়াচ্ছেন।”
অন্যদিকে, অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের একটি পোস্ট শেয়ার করে তাঁকেও কটাক্ষ করেন অভিনেত্রী। দেবলীনা পোস্টে লেখেন, ‘একটা প্রশ্ন জাগছে মনে? রাজ্যের এই মুহূর্তে বিরোধী পক্ষ হল বিজেপি! যেই দলটি শূন্য আসন পেয়েছে, তাঁদের ওপরে কারা অত্যাচার করেছে? আর কেনই বা করছে? নাকি এরম ফল করে দুঃখ পেয়ে, ওঁরা হ্যালুসিনেট করছেন!”
এই পোস্টেরই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীলেখা আজ লেখেন, “আমাদের ছেলেমেয়েদের এমনকি মা ঠাকুমাদের ওপর অত্যাচার নাকি আমরা হ্যালুসিনেট করছি? আমি কি সত্যি এটা দেখলাম, নাকি হ্যালুসিনেশন! আমাকে কেউ বোঝাবে?”
তবে শুধু পোস্ট করেই থেমে থাকেন না শ্রীলেখা। তিনি রাস্তায় নেমে কাজে বিশ্বাসী।এই করোনা পরিস্থিতিতে ঘাটতি পড়েছে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কগুলোতে। তাই রক্তের জোগান দিতে ‘ইচ্ছেমতো’ নাট্যদল আয়োজিত রক্তদান শিবিরে রক্ত দিতে যান শ্রীলেখা।