
ময়নাগুড়ি দুর্ঘটনার পরেই রেড ভলান্টিয়ারদের ভিড় জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কে, রক্ত দিলেন শ’খানেক ছাত্রযুবকর্মী
দ্য ওয়াল ব্যুরো : ময়নাগুড়িতে (Moynaguri) বৃহস্পতিবার বিকেলে লাইনচ্যুত হয়েছে আপ বিকানের-গুয়াহাটি (Bikaner-Guahati) এক্সপ্রেস। জখম বহু। মৃত্যুর সংখ্যাও স্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কে (Blood Bank) ভিড় উপচে পড়ল রেড ভলান্টিয়ারদের।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের তরফে ডাক দেওয়া হয়, ব্লাড ব্যাঙ্কে পৌঁছনোর। জখমদের বাঁচাতে রক্তের প্রয়োজন হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই এই ডাক দেওয়া হয়েছিল। সিপিএম সূত্রে খবর, রাত নটা পর্যন্ত শ’খানেক ছাত্রযুবকর্মী রক্তদান করেছেন।
বাম ছাত্র-যুব নেতারা জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালের সংলগ্ন জেলার আরও কর্মীরা রক্ত সংকট মেটাতে জলপাইগুড়ি ব্লাড ব্যাঙ্কে পৌঁছবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের অন্তত পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়। খবর পেয়েই আলিপুরদুয়ার থেকে উদ্ধারকারী দল রওনা দেয় ময়নাগুড়ির উদ্দেশে। উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। অন্ধকার নেমে আসায় প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারকার্য কিছুটা ধাক্কা খায়। পরে আবার তা শুরু হয়।
এদিন যখন এই রেল দুর্ঘটনার খবর নবান্নে এসে পৌঁছয় তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের ভার্চুয়াল বৈঠক চলছে। ওই বৈঠকের মাঝেই জলপাইগুড়ির উদ্ধারকাজের ব্যাপারে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার মুখ্যমন্ত্রীর থেকে প্রাথমিক খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাত আটটা পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত অনেক। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ফালাকাটা ও বারিপাড়া থেকে অনেকগুলি অ্যাম্বুলেন্স রওনা দিয়েছে ময়নাগুড়ির দিকে। দুর্ঘটনায় জখমদের যেন রক্ত সংকট না হয় সেই কারণেই এই তাৎক্ষণিক উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন বাম ছাত্র-যুব নেতারা।
এক যুব নেতা বলেন, পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরও রক্তের সেতুবন্ধন নাম নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছিল মানিকতলা ব্লাড ব্যাঙ্কে। কিন্তু সরকার তা বন্ধ করে দিয়েছিল। এবার এখনও সেই বাধা আসেনি।