
শনিবার ৫ই সেপ্টেম্বর দুপুরে বোয়ালমারী নন্দনপুর এলাকার প্রধানপাড়া হাট গ্রামের বাসিন্দা দীপক রায়ের বাড়ির লোকেরা আচমকাই লক্ষ করেন তাদের কুয়োর পাড়ে একটি গোখরো সাপ আর একটি পূর্ণবয়স্ক নেউলের মধ্যে জোর লড়াই চলছে। লোকেদের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে সেই লড়াইয়ের খবর। খবর চাউর হতেই সেই বিরল দৃশ্য মোবাইল বন্দি করার জন্য দীপকবাবুর বাড়িতে ভিড় জমায় এলাকারই বেশ কিছু মানুষ।
বেশ কিছুক্ষণ সমানে সমানে লড়াই চলার পর নেউলের দাঁত ও নখের আঘাতে গুরুতর রকমের জখম হয়ে পড়ে গোখরো সাপটি। এরপর এলাকাবাসীর তাড়া খেয়ে আহত সাপটিকে ফেলে পালিয়ে যায় নেউলটি। স্থানীয় মানুষেরাই সাপটিকে ধরে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে খবর পাঠান এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান দক্ষ রায়কে।
বোয়ালমারী নন্দনপুর এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান দক্ষ রায় এদিন প্রশ্নের উত্তরে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন “ঘায়েল সাপটি গোখরো জাতীয়। লম্বায় প্রায় তিন ফুট হবে। নেউলের দাঁত ও নখের আঘাতে এর শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা একে উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেবার জন্য যোগাযোগ করেছি। তারা এসে সাপটিকে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। ”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের বনকর্মী সৌভিক মন্ডলকে টেলিফোনে ধরা হলে তিনি জানান “আমরা আহত সাপটির খবর পেয়েছি। জানতে পেরেছি যখন, আমরা নিশ্চয়ই সাপটিকে উদ্ধার করে এনে তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো। এখন গ্রামের দিকে, এমনকি প্রত্যন্ত এলাকাতেও কোথাও বন্যপ্রাণী বের হলে বা কোনোভাবে কোনো প্রাণী আহত হলে মানুষ আমাদের খবর দেন। এটা আমাদের বন দফতর ও অন্যান্য পরিবেশ কর্মীদের লাগাতার সচেতনতা প্রচারের সুফল।”
সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার পর শুশ্রূষা দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারাটাই এখন বনদফতরের কর্মীদের কাছে আসল চ্যালেঞ্জ।