
ছ’হাজার পার করে সাত হাজার ছুঁতে যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বেড়ে চলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকাতে এবার জলপাইগুড়ির বাজার ও শপিং মলগুলির সামনে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মোবাইল কিয়স্ক নিয়ে গিয়ে র্যানডাম সোয়াব টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দফতর।
কাজেই পুজোর বাজার করতে যাওয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে, যেই দোকানে কিনতে যাওয়া, তার পাশে থাকা করোনা কিয়স্ক মোবাইল ভ্যানে র্যাপিড অ্যন্টিজেন টেস্টে যদি কেউ করোনা পজিটিভ রোগী হিসেবে চিহ্নিত হন তবে তাঁকে আর বাড়ি যেতে দেবে না স্বাস্থ্য দফতর। তখন জায়গা হতে পারে সেফ হোম বা করোনা হাসপাতালে। সুস্থ হয়ে তবেই ফেরা যাবে বাড়ি।
বেড়ে চলা করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কমাতে এই পথেই হাঁটতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। জানালেন করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায়।
পূজোর মুখে গত কয়েকদিন ধরে জলপাইগুড়িতে পূজোর বাজার ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় বেশিরভাগ জামা কাপড়ের দোকান কিংবা শপিং মল গুলিতে গেলে দেখা যাচ্ছে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে দোকান গুলিতে যাচ্ছেন পরিবারের লোকেরা। তাদের মুখে মাস্ক কিংবা হাত স্যানিটাইজ করে দোকানের ভেতর ঢুকতে হচ্ছে এ কথা ঠিক। কিন্তু দোকানের ভেতর ঢোকার পর মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব। একে অপরের গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে জামা কাপড় কিনছেন।
সম্প্রতি বাজার গুলি পর্যবেক্ষণ করে এই দৃশ্যতে সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
বাচ্চাকে নিয়ে বাজার করতে এসেছেন মাম্পি চন্দ। তিনি বললেন” লক ডাউনে একেবারে গৃহবন্দি ছিলাম। বাচ্চারা মানতে চায় না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে বাচ্চাকে নিয়ে পুজোর জন্য জামাকাপড় কিনতে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে দেখছি কেউ কিছু মানছে না। গায়ে উপরে এসে পড়ছে। সব দেখে এখন ভয় লাগছে। ”
দোকান মালিক নরেন সাহা বললেন, “আমরা খরিদ্দারদের অনেক ভাবে বোঝাছি। আমরা এই কথাও বলছি আপনারা এবার অল্প করে কিনে চলে যান আগামী বার আসুন। কিন্তু মানুষ শুনছে না। গায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ।”
ঘটনায় অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডাক্তার সুশান্ত রায় বলেন, “এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যেতে পারে না। আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কয়েকটি টিম বানিয়েছি। তারা পিপিই কিট পড়ে বেশি ভিড় থাকা জায়গাগুলিতে যাবেন। সেখানে আসা মানুষদের থেকে আমরা সোয়াব নিয়ে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাব। যার করোনা ধরা পড়বে তাকে আর তখন বাড়ি ফিরতে দেব না। আমরা সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্স করে তাকে সেফ হোম বা প্রয়োজনে করোনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে সুস্থ করে তারপর বাড়ি পাঠাবো ।”