
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবিরাম বৃষ্টিতে (Rain) বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। দার্জিলিং, কালিম্পং সহ পাহাড়ি জেলাগুলি জলমগ্ন। ধস নেমে জাতীয় সড়ক বন্ধ। নদীর জলস্তর বেড়ে চলেছে, ঘরবন্দি মানুষজন। আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। এদিকে দক্ষিণের জেলাগুলিতেও দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা বিদায় নিলেও নিম্নচাপের বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলছে না সহজে (Weather Forecast)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরও ২৪ ঘণ্টা অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গে। দক্ষিণের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও বৃষ্টির দাপট চলবে আরও একটা দিন। এর পর থেকে আকাশ পরিষ্কার হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, পাহাড়ের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে আরও ২৪ ঘণ্টা নাগাড়ে বৃষ্টি হতে পারে। গত দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বানভাসি পাহাড়ি জেলাগুলো। ধস নেমে বাড়িঘর ভেঙেছে, রাস্তাঘাট, রেললাইন জলে ডুবে গেছে। তিস্তার জল উপচে রাস্তায় উঠে এসেছে। তিস্তা ও জলঢাকা নদীর জলস্তর বেড়ে চলেছে। তিস্তা সংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও বৃষ্টির দাপট থাকবে পাহাড়ের পাঁচ জেলায়। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।
আবহবিদরা বলছেন, বিহারের ওপরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণাবর্তের চেহারা নিয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তেরই রেশ পড়ছে বাংলায়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলাগুলিতে এর প্রভাবেই টানা বৃষ্টি চলছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে আগামীকালও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। অন্যদিকে, মালদা ও দুই দিনাজপুরের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
দক্ষিণবঙ্গও নিম্নচাপের বৃষ্টি থেকে রেহাই পাবে না এখনই। আগামীকালও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে দিনভর। তবে আগামীকালের পর থেকে বৃষ্টির তেজ কমবে। আকাশ পরিষ্কার হতে পারে।
২২ তারিখের পর থেকে শীতের আমেজ টের পেতে পারে বঙ্গবাসী। এমনটাই অনুমান আবহবিদদের। রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। কলকাতাতেও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা আছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এতদিন নিম্নচাপের জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকছিল স্থলভাগে। তাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ছিল। এর পর থেকে আবহাওয়া অনেকটাই আরামদায়ক হবে বলে আশা করা যায়।