
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোটা রাজ্য জুড়ে ১১ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি বানানোর টাকা দেবে সরকার। এক মাসের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়াও শুরু করে দেবে প্রশাসন (Mamata Banerjee)। সেই বাড়ি কারা পাবে তা এখন বাছাই চলছে। এবং এই বাছাই পর্বেই বিক্ষিপ্ত ভাবে খারাপ খবর আসা শুরু হয়েছে।
যারা গরিব ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া তাদেরই বাড়ি বানানোর টাকা পাওয়ার কথা। তাদের খুঁজে বের করতে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সমীক্ষা করছেন আশা কর্মীরা। কিন্তু মুশকিল হল, কারও নাম বাদ দিলে কোথাও কোথাও আশা কর্মীদের আটকে রাখা হচ্ছে (Mamata Banerjee)। কোথাও গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে সমীক্ষা করা থেকে পিছিয়ে আসতে চাইছেন আশা কর্মীরা।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে এরকম বিক্ষিপ্ত ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সব জেলাশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছেন। মুখ্য সচিবের নির্দেশ আশা কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। কোথাও তাঁদের হেনস্থা করা হলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।
যাত্রী অসুস্থের ট্যুইট পেয়ে কয়েকঘণ্টার মধ্যে ট্রেনেই এল মেডিক্যাল টিম
নবান্নের এক কর্তার কথায়, সরকার ১১ লক্ষ বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেবে। যার অর্থ হল মোট উপভোক্তা প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ। সংখ্যাটা বিপুল। তা ছাড়া সরকার থেকে এরকম টাকা পেতে কে না চায়। যার পাকা বাড়ি রয়েছে সেও চায় সরকার থেকে কিছু টাকা পেলে যদি বাড়িটা আরেকটু গুছিয়ে নেওয়া যায়। সেই কারণেই এত হুড়োহুড়ি পড়েছে। কিন্তু মুশকিল হল, বাড়ি বাবদ টাকা দেওয়ার একটা গাইডলাইন রয়েছে। যাদের একশ দিনের কাজের জব কার্ড রয়েছে তারা অগ্রাধিকার পাবে। তা ছাড়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা এবং জনজাতি এলাকার জন্য পৃথক গুরুত্ব দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
শুধু তাই নয়, নিয়ম হল প্রথমে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে প্রাথমিক তালিকা তৈরি হবে। তার পর সেই তালিকাকে গ্রামসভা অনুমোদন দেবে। গ্রামসভা চাইলে সেই তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দিতে পারে। তাদের যদি মনে হয় তালিকায় থাকা কারও আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে, তা হলে নাম বাদ যাবে। তবে গ্রাম সভা তালিকায় নতুন কোনও নাম ঢোকাতে পারবে না।
এক্ষেত্রে বিডিও তালিকা তৈরির সময়ে স্বজনপোষণের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই গ্রামসভার অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে। তবে এর উল্টোটাও দেখা গেছে। তৃণমূলের এক অঞ্চল প্রধান তালিকা থেকে তাঁর ভাইয়ের নাম বাদ দিতে বলেছেন। অর্থাৎ তাঁর ভাইয়ের আর্থিক সঙ্গতি থাকায় তিনি চাইছেন না যে সরকার থেকে ভাই টাকা নিক।
সবমিলিয়ে গোটা প্রক্রিয়াটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবার কড়া নির্দেশ গ্রামের বাড়ি প্রকল্পে কোনও অনিয়ম চলবে না। কারও বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠলে পুলিশ সোজা এফআইআর করবে। দরকারে গ্রেফতার করবে।