
করোনা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন গর্ভবতী মহিলারা, জানাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
একাধিক সংগঠন সরকারের কাছে গর্ভবতী মহিলাদের ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করছিল। গত মে মাসে দিল্লির শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন কেন্দ্রের ১৪ জানুয়ারির অ্যাডভাইসরির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। তাতে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকার বাইরে রাখা হয়েছিল গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান, এমন মহিলাদের।
এই সিদ্ধান্তে নীতিগত বড় বদল ঘটল কেন্দ্রের। গত মাস পর্যন্ত স্তন পান করান, এমন মহিলাদের করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার তালিকায় রাখা হলেও গর্ভবতী মহিলাদের হয়নি। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, যেহেতু ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে গর্ভবতী মহিলাদের সামিল করা হয়নি, সুতরাং তাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ, সুরক্ষিত, সে ব্যাপারে যথেষ্ট ডেটা নেই।
২৯ জুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের গুরুত্ব ও আগাম সতর্কতার বিষয়ে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যাপারে সামনের সারির কর্মী ও ভ্যাকসিন দাতাদের গাইড করার একটি তথ্যপঞ্জি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছিল, ৯০ শতাংশের বেশি কোভিড সংক্রমিত গর্ভবতী মহিলা এমনিই সুস্থ হয়ে উঠবেন, হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হবে না। তবে সামান্য কিছু ক্ষেত্রে দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে, এতে গর্ভস্থ ভ্রুণেরও ক্ষতি হতে পারে। সুতরাং গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হচ্ছে। তবে গর্ভবতী হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে না। কিন্তু যে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ আছে, তাদের গভীর অসুখ, মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। গভীর অসুখ হলে অন্য সব রোগীদের মতোই গর্ভবতী মহিলাদের হাসপাতালে চিকিত্সা করাতে হবে। যে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা আছে, বয়স ৩৫ এর ওপর, তাদের কোভিড ১৯ এর জন্য বেশি মাত্রায় অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।