দ্য ওয়াল ব্যুরো: এই বছর বৃষ্টি যেন থামছেই না। শীত পড়ার ঠিক আগে একপ্রস্থ নিম্নচাপের বৃষ্টিতে মাঠের আলু মাঠেই নষ্ট হয়েছে। তবু শীতের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাষিরা। মনে করেছিলেন শীতে অন্তত ভাল করে আলু ফলবে। কিন্তু হঠাৎ করেই শীত চলে গিয়ে নিম্নচাপের বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফের মাথায় হাত আলু চাষিদের।
জানা গেছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে বৃষ্টির জেরে। এই বৃষ্টি আরও কয়েকদিন চললে এবারেও মাঠের আলু মাঠেই নষ্ট হবে। এতে একদিকে যেমন দরিদ্র চাষিরা কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না, তেমনই আগামী বছর কম ফলন হওয়ার কারণে আলুর দাম আকাশ ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা।
অসময়ের বৃষ্টি ‘পাকা ধানে মই’ দেওয়ার সামিল বলে মনে করছেন দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা। হাওড়া, হুগলি, নদিয়া বা ঝাড়গ্রাম, এইসব জেলার বেশিরভাগ অংশে কোথাও চাষের জমি জলের তলায়, কোথাও আবার জমির ওপর দিয়ে বইছে জল। ফলে ধান, আলু, সর্ষে থেকে শুরু করে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
নিম্নচাপের জেরে হওয়া দফায় দফায় বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই চাষের দফারফা হুগলি জেলায়। হুগলিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সম্ভবত আলু ও ধান চাষে। অনেক জমির ধান কাটার পর সেখানেই পড়ে রয়েছে। বৃষ্টির জল জমিতে জমে যাওয়ায় ধান নষ্ট হয়ে যাবে। আর জমির জল না শুকোলে কিছু করা যাবে না। ডিসেম্বরের গোড়ার দিকেও বৃষ্টি হয়েছিল, ফলে দেরি হয়েছিল আলু বসাতে, মার খেয়েছে আলু চাষ।
নদিয়ায় আবার ধান কিংবা আলুর পাশাপাশি শীতকালীন ফসলের চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আলুর মতো ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর প্রভৃতি ফসলের জমিতে জল জমে ছত্রাকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এতে করে কোনও কৃষকই স্বস্তিতে নেই। অনেক কৃষক এই মরশুমি ফসলের চাষ করেন। তাঁদের বেশিরভাগই চাষের খরচটুকু পর্যন্ত তুলতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন।