
জেলার গোয়ালপোখর ২ ব্লকের বেলন গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপর, রামপুর, চাঁদনিচক এলাকায় এমন রিপোর্ট নিয়ে উত্তেজনার পরিবেশ। ঘটনার পরে রীতিমতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছে নমুনা পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে।
জানা গিয়েছে, গত ১১ অগস্ট ওই এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কিনা জানতে লালরস পরীক্ষার জন্য মোট ৮০ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে। তবে তালিকায় নাম থাকলেও তাদের মধ্যে ৭৩ জনের লালরস সংগ্রহ করা হয়েছিল। বাকি সাত জনের সংগ্রহ করাই যায়নি। কারণ, ওই সাত জনের নাম তালিকায় থাকলেও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নমুনা না দিয়েই বাড়ি চলে যান। সেই সাত জনের মধ্যেই চার জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে অভিযোগ।
যাদের পরীক্ষাই করা হয়নি তাদের রিপোর্ট কী করে পজিটিভ এল এই প্রশ্ন তুলে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। সেই সঙ্গে কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়েছে এলাকায়। কীভাবে এমনটা হল তার উত্তর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছেও নেই। এলাকার বাসিন্দারা অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। ইতিমধ্যেই এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ১,৬৮৯ জন। লাগাতার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে বিভিন্ন এলাকায় লালারস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু উত্তর দিনাজপুরেই নয়, উত্তরবঙ্গে অন্যান্য জেলাতেও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত যে রিপোর্ট তাতে, এদিন উত্তর দিনাজপুরে নতুন আক্রান্ত ১২৮ জন। দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৮৫ জন। কম যাচ্ছে না মালদাও। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১১৫ জন। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারে ২০, কোচবিহারে ৭৭, দার্জিলিংয়ে ৭৩, কালিম্পংয়ে ১৩, জলপাইগুড়িতে ৩৫ জন নতুন আক্রান্ত।
কিন্তু পরীক্ষা হয়নি এমন ব্যক্তিদের রিপোর্ট কী করে পজিটিভ এল? এই প্রশ্নের জবাবে, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, “বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”