

শনিবার সকালে নিউজার্সি থেকে ওড়ে ইউনাইটেড ফ্লাইটের বিমানটি । মাঝপথে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এক যাত্রী । বাধ্য হয়ে বিমানের জরুরী অবতরণ করান পাইলট । ঘড়িতে তখন রাত নটা । বিমান অবতরণের পরই যাত্রীরা বুঝতে পারেন হাড়হিম ঠান্ডা- ভারী তুষারপাত গুসে বে বিমানবন্দরকে মুড়ে ফেলেছে । এরপরই ঘটে যায় সেই বড় অঘটন, অসুস্থ যাত্রীকে নিরাপদে হাসপাতালে ভর্তি করে ওড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ইউনাইটেড ফ্লাইট 179 । তখনই দেখা যায় ঠান্ডায় প্রায় বরফ হয়ে গিয়েছে বিমানের দরজা । অনেক চেষ্টার পরও দরজা বন্ধ করতে পারেননি বিমান কর্মীরা । ততক্ষণে মধ্যরাত । তাপমাত্রা -৩০ ডিগ্রি । বিমানের ভিতর তখন তুষারপাতের ঠান্ডা হাওয়া ঢুকেই চলেছে।
— liz ten eleven (@selectric401) January 20, 2019
মাঝরাতে বিমানবন্দরের কোনও কর্মীকেই সাহায্যের জন্য সামনে পাওয়া যায়নি । জানা যাচ্ছে, ঠান্ডার কারণেই গুসে বে বিমানবন্দরের আলো নিভে যায় । যার জেরে করুণ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় হংকংগামী ২৫০ যাত্রীকে । টানা ১৬ ঘণ্টা বিমানের পাতলা কম্বলে কোনওরকমে নিজেদের ঢেকে রাখেন তাঁরা । দশ ঘণ্টা পর্যন্ত বিমান কর্মীরা গরম কফি, শুকনো খাবার যাত্রীদের দিতে পারলেও, পরে সেই জোগানও বন্ধ হয়, ফুরিয়ে যায় খাবার । এই পরিস্থিতিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা । ক্ষুব্ধ হয়েই সঞ্জয় দত্ত নামে এক ভারতীয় যাত্রী টুইট করে সাহায্যের আর্জি জানান।
Finally got off plane, got on a bus and now waiting to be taken to new rescue plane to fly back to Newark. 16hours since we landed in Goose Bay. pic.twitter.com/nBb0zKwOba
— SONJAY (@sonjaydutterson) January 20, 2019
অবশেষে রবিবার সকালে রিলিফ ফ্লাইট ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । ততক্ষণে বেশিরভাগ বিমান যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন । তাঁদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার পর রিলিফ বিমানেই যাত্রীরা নিউইয়র্কে পৌঁছন । তখনও আতঙ্ক ছিল যাত্রীদের চোখে মুখে ।
পড়ুন-
https://www.four.suk.1wp.in/no-data-is-registered-about-doctor-assault-in-wb/