Latest News

‘সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির, বিতর্কের জায়গা’, ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাস মহামারী আবহে রবিবার দেশের ৭৫-তম বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে দেশবাসীর উদ্দেশে  রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণে উঠে এল ভ্যাকসিনেশনের কথা। তিনি করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বলেছেন, এই মুহূর্তে বিজ্ঞান আমাদের হাতে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় সবচেয়ে যে সেরা অস্ত্রটি দিয়েছে, সেটা হল ভ্যাকসিন। সকল দেশবাসীকে যত শীঘ্র সম্ভব যাবতীয় প্রটোকল মেনে ভ্যাকসিন নেওয়ার আবেদন করছি।

রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আর কী কী বলছেন, দেখে নিন একনজরে——-

মহামারীর তীব্রতা কমেছে। কিন্তু তার ধ্বংসাত্মক প্রভাব থেকে আমরা এখনও বেরিয়ে আসতে পারিনি। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃতদের জন্য গভীর ভাবে ব্য়থিত আমি। কিন্তু আমরা অনেক জীবন বাঁচাতেও সফল হয়েছি। স্বাস্থ্যকর্মী, ভ্যাকসিন বিজ্ঞানীদের অবদান স্বীকার করেন কোভিন্দ। অর্থনীতির ওপর কোভিডের আঘাত সামলাতে সরকারের প্রয়াসের প্রশংসা করেও জানান,  ক্ষুদ্র  ও মাঝারি ব্যবসার স্বার্থে  পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।  দেশের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে সঙ্কট খাড়া করেছিল, তার মোকাবিলা করা কোনও পরিকাঠামো, এমনকী উন্নত অর্থনীতির পরিকাঠামোরপক্ষেও সম্ভব ছিল না।

সম্প্রতি সংসদের বাদল অধিবেশনে যেভাবে পেগাসাস, তিনটি কৃষি বিল, জ্বালানির অস্বাভাবিক মৃল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুতে বিরোধীদের আলোচনার দাবিকে  কেন্দ্র করে অচল হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে কোবিন্দ ভাষণে বলেন, আমাদের গণতন্ত্র সংসদীয় সিস্টেমের ভিত্তিতে চলে। তাই সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির। বিতর্ক করার, মানুষের কল্যাণের ইস্যুগুলি স্থির করার জায়গা। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে এই নতুন ভবনের উদ্বোধন বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের বিকাশের যাত্রাপথে ঐতিহাসিক সূচনার বিন্দু হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। সব দেশবাসীর কাছেই এটা বিরাট গর্বের ব্যাপার যে আমাদের গণতন্ত্রের একটি মন্দির নিকট ভবিষ্যতে একটি নতুন ভবনে স্থাপিত হতে চলেছে।

 

সদ্যসমাপ্ত টোকিও অলিম্পিক্সে আমাদের ক্রীড়াবিদরা  চমত্কার পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দেশের সম্মান বাড়িয়েছেন।

জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন ভোর আসছে। আমি এই  সুযোগের সদ্ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজেদের আশাআকাঙ্খা পূরণে কাজ করার জন্য আমজনতা, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের যুবকদের আবেদন করছি।

অসম বিশ্বে আরও সাম্য প্রতিষ্ঠা, অন্যায় পরিস্থিতির মধ্যে আরও ন্যয়ের লক্ষ্যে  চেষ্টা করতে হবে আমাদের।

দেশের মেডিকেল, চিকিত্সা সংক্রান্ত পরিকাঠামো জোরদার করতে এক বছর ধরে ২৩,২২০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে, এটা সন্তোষজনক ব্যাপার।

ভারত পরিবেশ রক্ষায় শুধু যে প্যারিস জলবায়ু  চুক্তি মানছে না, তাই-ই নয়, তার বেশিই করছে। কেননা ভারত জলবায়ু বাঁচাতে দায়বদ্ধ।

প্রতিটি অভিভাবককে বলব, প্রতিশ্রুতিমান মেয়েদের পরিবারগুলিকে দেখে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের মেয়েদের বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিন।

কৃষি সংক্রান্ত মার্কেটিংয়ে অনেক সংস্কার ঘটেছে,যার ফলে আমাদের অন্নদাতা কৃষকরা আরও ক্ষমতা পাবেন, তাঁদের পণ্যের আরও উন্নত দর পাবেন।

বহু জানা, অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীর অনেক প্রজন্মের সংগ্রামের ফলে আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সেই অমর যোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি মাথা নত করে শ্রদ্ধা জানাই।

৭৫ বছর আগে ভারত যখন স্বাধীন হল, তখন অনেকে সন্দিহান হয়ে ভেবেছিলেন,  ভারতে গণতন্ত্র টিঁকবে না। কিন্তু তাঁরা এটা কমই বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভারত সেই সুদূর অতীত থেকে গণতন্ত্রের লালন পালন করা ক্ষেত্র হয়েই থাকবে। আজও ভারত তা-ই আছে।

You might also like