
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘হয় টাকার ব্যবস্থা করুন, না হলে একটু বিষ কিনে দিন!’ অসহায় মংলি মাণ্ডির কাঁদতে কাঁদতে বলা এই কথাগুলো শুনে চমকে উঠছেন সকলে। তবে এই আর্তনাদ এমনি নয়। দীর্ঘ চার মাস ঠিক করে খেতে না পেয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছেন এই আদিবাসী বৃদ্ধা। অভিযোগ, চার মাস ধরে তিনি বার্ধক্য ভাতার টাকা পাচ্ছেন না।
বৃদ্ধার বাড়ি কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওসমানপুর গ্রামে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। ওসমানপুর গ্রামে ওই জাতীয় ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে তিনি নিয়মিত বার্ধক্য ভাতার টাকা তোলেন। অভিযোগ, গত চার মাস ধরে টাকা তুলতে গেলেই তাঁকে বলা হয়েছে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি। অথচ সহায়-সম্বলহীন মংলি মাণ্ডি বার্ধক্য ভাতার টাকা দিয়েই পেটের ভাত জোগাড় করেন। ফলে মাসখানেক হল তিনি ঠিক করে খেতেও পাচ্ছেন না!
এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশীদের কথা শুনে বিডিওর কাছে এসে অভিযোগ জানান ওই বৃদ্ধা। সেই সময় জানতে পারেন তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত টাকা তোলা হয়েছে! কালনা-২ ব্লকের বিডিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
ওসমানপুর গ্রামের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রটি চালান হাসিফুল শেখ। তিনি অবশ্য বৃদ্ধার অভিযোগ মানতে চাননি। বরং আমাদের প্রতিনিধি তাঁর মুখোমুখি হলে নানান কথা বলে ঘটনার দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এক অসহায় বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল বার্ধক্য ভাতার টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ সামনে আসার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে কালনায়। প্রশাসন দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে!