
‘রেলগেট নাই, ভোট নাই’, ভোট বয়কট জলপাইগুড়ির দুই বুথে, বিক্ষোভ-অবরোধ গ্রামবাসীদের
জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিধানসভার বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতে দেমধাপাড়ায় গেলে এই স্লোগানই শোনা যাবে এখন। রেললাইনের ওপর সার বেঁধে বসে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড। সেখানে লেখা ‘দৈনন্দিন যাতায়াতের রেলগেট নাই, তাই ভোট নাই।’
দেমধাপাড়া এলাকার দুই বুথ ১৮/২৩৫ এবং ১৮/২৩৫এ বেলা অবধি ভোট পড়েছে সাকুল্যে দুই থেকে তিনটি। দাবিদাওয়া না মিটলে কিছুতেই ভোট দিতে রাজি করানো যাচ্ছে না ভোটারদের। ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। খবর গেছে নির্বাচন কমিশনে। জেলা নির্বাচন দফতরের আধিকারিকরা গিয়ে ভোটারদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেমধাপাড়া রানিনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইন পারাপারের জন্য একটা জায়গা ছিল। সেটা সম্প্রতি আটকে দেওয়া হয়েছে। তাই লাইন পারাপারের জন্য ওই এলাকায় রেলগেট বানিয়ে দিতে বলেন গ্রামবাসীরা। এই রেলগেটের দাবিতে অনেকদিন ধরেই বিক্ষোভ হচ্ছে দেমধাপাড়ায়। আজ সকাল থেকে হাতে প্ল্যাকার্ড গিয়ে রেললাইনের ওপরেই বসে পড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রতিবারই ভোট আসে, একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট মিটলেই আবার যে কে সেই। তাই দাবি পূরণ না হলে ভোট দিতে যাবেন না কেউই।
এদিকে এলাকারই বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র রেলগেট ইস্যুতে ভোট বয়কট করা হচ্ছে না। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাঁরা, তাঁরা তৃণমূলের কর্মী। বিজেপির অভিযোগ, রেলগেটের দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন হচ্ছে। তাহলে আজই বা কেন বিক্ষোভ-অবরোধ করা হচ্ছে। অভিযোগ, ভোটারদের বাধা দেওয়ার জন্যই এই বিক্ষোভ শুরু করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ভোট দিতে চান। কেন্দ্রীয় বাহিনী তাঁদের বুথে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক সোমনাথ বিশ্বাস বলেছেন, রেলগেটের দাবি ছিলই। কিন্তু আজ বিক্ষোভের কারণে দুটি বুথেই প্রায় কোনও ভোট পড়েনি বলা যায়। দুই বুথের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। তাঁদের দাবি পূরণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা এখনও মেটেনি।