
ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন ‘তৃণমূল সাংসদ’ দিব্যেন্দু
চিঠিতে দিব্যেন্দু লিখেছেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে বল্গাহীন হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ও নেতাদের নেতৃত্বে সশস্ত্র গুণ্ডারা লুঠতরাজ চালাচ্ছে, মারধর করছে, মানুষের ঘর ভাঙচুর করছে। তাঁর অভিযোগ, সশস্ত্র গুণ্ডারা তাঁর নির্বাচন কেন্দ্রেও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে ও লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন দিব্যেন্দু।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। কিন্তু দিব্যেন্দু তা করেননি। তবে এও ঠিক, গোটা নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন দিব্যেন্দু। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের জন্য ইতিমধ্যেই স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রীকে দিব্যেন্দু এই চিঠি দেওয়ার পর তৃণমূল সেই তৎপরতা বাড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার দুপুরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে ফোন করেন। পরে রাজ্যপাল টুইট করে জানান, “রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অতিশয় উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমিও তাঁকে জানিয়েছি যে লুঠ, ভাঙচুর, খুন, হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ সবই এখনই বন্ধ করা উচিত”। এই টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনশনও করেছেন রাজ্যপাল।
ভোটের ফল প্রকাশের পর যে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে পারে সেই আশঙ্কা ছিলই। হয়েছেও তাই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বিক্ষিপ্ত ভাবে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। কোথাও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোথাও মারধর করা হচ্ছে, কোথাও খুন পর্যন্ত হচ্ছে। এ সব ঘটনা নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন বাম ও বিজেপি নেতারা। সোমবার এ ব্যাপারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার পর আবার এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।