
সিঙ্গুর দখলে বেচারামে ভরসা দিদির, স্ত্রীকে হরিপালে, হুগলিতে একাধিক প্রার্থী বদল
সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর বয়সের কারণে এবার তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন মমতা। এমনিতে সিঙ্গুরের রাজনীতির সঙ্গে মাস্টারমশাই বনাম বেচারামের সংঘাত বহু পুরনো। সম্প্রতি ব্লক সভাপতি বদল নিয়ে কী কাণ্ডটাই না হয়েছিল।
গত লোকসভা ভোটে সিঙ্গুর বিধানসভা থেকে বিপুল ভোটে লিড পেয়েছিলেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই মাটি পুনরুদ্ধারে মরিয়া মমতা বেচারামের কেন্দ্র বদল করে কৌশল নিলেন।
হুগলিতে একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছেন দিদি। উত্তরপাড়া কেন্দ্রে প্রার্থী বদল অনিবার্যই ছিল। কারণ সেখানকার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার সংস্কৃতির শহরে দিদির দূত অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। চাঁপদানি কেন্দ্রে গতবার জিতেছিলেন কংগ্রেসের আবদুল মান্নান। সেই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে অরিন্দম গুঁইনকে (বুবাই)। তিনি ছিলেন বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান।
পাণ্ডুয়ায় গতবার ফুটবলার রহিম নবিকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা। কিন্তু গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই তাঁকে সিপিএমের আমজাদ হোসেনের কাছে হারতে হয়। এবার সেখানেও প্রার্থী বদল করা হয়েছে। লোকসভায় পরাজিত রত্না দে নাগকে পাণ্ডুয়ার প্রার্থী করা হয়েছে। জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে প্রার্থী করা হয়েছে পুরশুড়ায়।
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। এদিন দেখা গেল তাঁর নামও বাদ পড়েছে প্রার্থী তালিকা থেকে। তাঁর জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁকে। এমনিতে লোকসভায় আরামবাগ লোকসভায় সুতোর ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল। যদিও শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, ১৬টা মেশিন গুণতে না দিয়ে জোর করে বিজেপিকে হারানো হয়েছিল। সেখানে এবার একাধিক বদল আনলেন দিদি। সব কিছুর পরেও নজর থাকবে সিঙ্গুরের দিকে।