
বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং শিক্ষা বন্ধু ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরা। তাঁরা লিখিত ভাবে কমিশনের কাছে তাঁদের বক্তব্যও পেশ করেন। সেই চিঠিতে তাঁরা তাঁদের আশঙ্কার বিষয়-আশয় ও দাবি-দাওয়া জানিয়ছেন।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো পুরভোটেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভোটের দায়িত্ব পড়ে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেশি করে ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়। বাস্তব হল, গত কয়েক বছরে বিভিন্ন নির্বাচনের ঘটনাক্রম দেখে তাঁদের মধ্যে আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। আকছার দেখা যায়, ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার অনেকে ইদানীং আবার সোশাল মিডিয়ায় পরিষ্কার করে লেখেন তাঁরা কী ঝুঁকি নিয়ে ভোট করাতে চলেছেন। উৎকন্ঠায় থাকে তাঁদের পরিবারও। ফলে এদিন তাঁরা যে দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে তা অমূলক নয় বলেই মনে করেন অনেকে।
এমনিতে বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের সময়ে যে বুথগুলিতে যে পরিমাণ নিরাপত্তার আয়োজন থাকে তা পঞ্চায়েত বা পুরভোটে থাকে না। পঞ্চায়েত ও পুর নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীও মোতায়েন করা হয় না। পুরোটাই রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানে হয়। দেখা যায়, বহু বুথে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে না।
পর্যবেক্ষকদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটে দেখা গিয়েছিল নির্বাচনী হিংসা নতুন মাত্রা পেয়েছে। আগে ভোটের আগের দিন বা ভোটের দিন হিংসার ঘটনা ঘটত। বুথে ভোট কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটত। কিন্তু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা যায় যে গণনার দিন গণনাকেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। ফলাফল তাদের পছন্দ মতো না হলে ব্যালট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কোথাও কোথাও। কোথাও বা আবার ব্যালট বাক্স ধরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রবণতা রোখা রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ বইকি।