
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড সংক্রমণের কারণে মা-বাবার মধ্যে একজনকে বা দু’জনকেই হারিয়েছে যে শিশুরা তাদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জমা করতে হবে। কোভিড কেয়ার লিঙ্কের মাধ্যমে সেই তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে ‘বাল স্বরাজ পোর্টাল’-এ। শনিবার সন্ধের মধ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সব তথ্য জমা করতে হবে।
কোভিডে অভিভাবকহীন শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশে নানা রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলি। অনাথ হয়ে পড়া বাচ্চাদের দেখভালের কী হবে সেই বিষয়ে পিটিশনও দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। গতকাল তারই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের বেঞ্চ জানায়, অভিভাবকহীন শিশুরা যাতে পাচার বা অন্যান্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের শিকার না হয়ে যায়, সেদিকে নদর দিতে হবে সেই রাজ্যের সরকারকেই। শিশুদের দেখাশোনা ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার কথা আগে ভাবতে হবে।
কেন্দ্রের পরিসংখ্যাণ বলছে, চলতি বছর ১ এপ্রিল থেকে ২৫ মে অবধি প্রায় ৫৭৭ জন শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়ে অনাথ হয়েছে। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই রিপোর্ট সামনে আনা হয়েছে। আবার সংবাদসংস্থা এএফপি-র রিপোর্ট বলছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় হাজারের বেশি শিশু তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে একজনকে বা দু’জনকেই হারিয়েছে। রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলায় জেলায় পাচার বিরোধী সংগঠন গড়ে তুলতে। প্রত্যেক থানায় মহিলাদের জন্য হেল্প-ডেস্ক খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, করোনায় অনাথ হয়ে পড়া শিশুদের দায়িত্ব নেবে তার সরকার। ২৫ বছর বয়স অবধি তাদের শিক্ষা, খাওয়াপড়া, চিকিৎসা সহ সব ব্যবস্থাই হবে সরকারের।