
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর– এই চার কর্পোরেশনের ভোটের জন্য আজ বৃহস্পতিবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনা হল এই চার পুরনিগম নিয়েই তৃণমূলকে বিড়ম্বনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে নানান সময়ে। ফলে মেয়র মুখ ও প্রার্থী তালিকায় নতুন কারা আসছেন সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
শিলিগুড়ি
শিলিগুড়িতে গতবার বোর্ড দখল করেছিল বামেরা। কিন্তু এখন উত্তরবঙ্গের এই শহরে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। বিধানসভায় শিলিগুড়ি আসন বিজেপি জিতেছে। তা ছাড়া জোট করে ভোট লড়ার কথা ঘোষণা করেছে বাম-কংগ্রেস। এরমধ্যে পুরপ্রশাসক পদে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে নিয়োগ করেছে নবান্ন। হতে পারে তাঁকেই মেয়র মুখ করে শিলিগুড়ি লড়বে তৃণমূল। আবার এও ঠিক, শিলিগুড়িতে তৃণমূলের মধ্যেও গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। সেদিক থেকে কলকাতার মতো আগে থেকে মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আগে থেকে কারও নাম নাও ঘোষণা করতে পারে শাসকদল।
বিধাননগর
প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে একটা সময় অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল তৃণমূলকে। যদিও পরে অনাস্থা এনে সব্যসাচীকে সরিয়ে দেয় শাসকদল। মেয়র করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ অনুগামী কৃষ্ণা চক্রবর্তীকে। বর্তমানে তিনিই পুরপ্রশাসক। তবে এর মধ্যে বিজেপি ঘুরে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন সব্যসাচী। তাঁকে দল টিকিট দেয় কি না সেটাও দেখার। তবে লবণহ্রদে জল্পনা ভাসছে সব্যসাচীর পুরনো ওয়ার্ড ৩১ নম্বরে তাঁর স্ত্রীকে টিকিট দিতে পারে তৃণমূল। ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের মেয়েকে প্রার্থী করার জন্য তদ্বির চালিয়েছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
আসানসোল
আসানসোল ছিল তৃণমূলের দখলে। তবে গত বোর্ডের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার হয়তো তাঁকে গেরুয়া শিবির মুখ করে লড়াইয়ে নামবে। সেদিক থেকে আসানসোলে শাসকদল কাকে মুখ করে লড়াইয়ে নামে সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।
চন্দননগর
হুগলির এই কর্পোরেশনে তৃণমূলের বোর্ডের বিরুদ্ধে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তা সামনে আসতে মেয়াদ ফুরনোর আগেই বোর্ড ভেঙে দেয় রাজ্য সরকার। নিয়োগ করা হয় প্রশাসকমণ্ডলী। চন্দননগরের ভোটে রাম চক্রবর্তীকেই তৃণমূল মুখ করে লড়বে নাকি নতুন মুখ আনবে সেদিকেও নজর থাকবে।