
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রায়গঞ্জ শহরের সুভাষগঞ্জ এলাকায় কুলিক নদীতে মাছ ধরছিলেন বেশ কয়েক জন লোক। অন্যদের সঙ্গে শহরের শক্তিনগর এলাকার বাসিন্দা রাজু পাশমান কুলিক নদীর উপরে রেলসেতু থেকে মাছ ধরা দেখছিল। বিকেল চারটে নাগাদ আচমকাই সে সেতু থেকে নদীতে পড়ে যায়। নদী এখন জলে ভরা। বেশ কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি পড়ায় উত্তরবঙ্গের অন্য নদীগুলির মতো কুলিকেও এখন প্রচণ্ড স্রোত। জলে পড়া মাত্রই তলিয়ে যায় ওই কিশোর।
তার বন্ধু ঋত্বিক পাশমান বলে, “আমরা তিন বন্ধু ওই সেতুর কোণে ডাঙার পাশে দাঁড়িয়ে মাছ ধরা দেখছিলাম। আমরা কিছুটা সরে গিয়েছিলাম। আচমকাই শব্দ পেয়ে দেখি ও যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে নেই। তখনই আমরা অন্য দিক দিয়ে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু ওকে আর দেখতে পাইনি।”
নদীতে পড়ে যেতে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় যুবকরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জের পুর প্রশাসনকে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের উদ্ধারকারী দল। নামানো হয় ডুবুরি। খবর পেয়ে চলে আসে পুলিশও। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি লোকমুখে খবর পাই আমার ওয়ার্ডের একটি ছেলে সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে ছিল। কোনও ভাবে সেখান থেকে পড়ে গেছে। আমি কংক্রিটের উপরে পিছলে যাওয়ার দাগ দেখতে পেয়েছি। এটা সম্ভবত ওরই পড়ে যাওয়ার দাগ। লোকজনের মুখ থেকে যা শুনলাম তাতে মনে হচ্ছে ছেলেটি ব্রিজের কোণের পিলার থেকে কোনও ভাবে পড়ে যায়। তারপরে ওকে আর দেখা যায়নি।”
ঋত্বিক পাশমান বলে, “ও খুব ভাল সাঁতার জানত।” তা হলে কেন উঠতে পারল না? স্থানীয়রা মনে করছেন, নদীতে পড়ে যাওয়ার সময় কোনও ভাবে সেতুর থামে ধাক্কা খায় রাজু। তার ফলে হয়তো সে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে। সেই কারণেই জলে পড়ে সাঁতার কাটতে পারেনি।