
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: দামোদরে নদীতে নামতে না নামতেই সোমবার ভোর বেলায় তলিয়ে গেলেন চার জন। পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের কুটিরডাঙার ঘটনা।
শ্রাবন মাসের সোমবারে অনেকেই শিবের ব্রত করেন। দুর্গাপুরের গোপাল মাঠের ছ’জন যুবকও সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ অণ্ডালের দামোদরের কুটিরডাঙার ঘাটে শিব মাথায় জল ঢালার জন্য হাজির হন। সেখানে দামোদর নদীতে স্নান করতে নামেন চার জন। অন্য দু’ জন পাড়েই অপেক্ষা করছিলেন। এক জন ভারসাম্য হারিয়ে তলিয়ে যেতে শুরু করলে পরের জন তাঁকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যান। তার পরে তাঁদের দু’জনকে উদ্ধার এগিয়ে যান অন্য দু’জন। তাঁরা চার জনই তলিয়ে যাচ্ছেন দেখে পাড়ে থাকা দুই বন্ধু ভয় পেয়ে পালিয়ে যান।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই চার জনের নাম সব্যসাচী মুখোপাধ্য়ায়, সৌরভ মণ্ডল, শিবু দাস ও রাহুল মাণ্ডি। তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ বছর। এবার তারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
শ্রাবন মাসের সোমবার হওয়ায় নদীর ঘাটে বেশ কয়েক জন লোক ছিলেন। তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নদী ঘাটে এলাকার প্রচুর লোক ভিড় জমান। খবর পেয়ে সকাল ছ’টা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসে অণ্ডাল থানার পুলিশ। স্থানীয়রাই প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তদারকি করে অণ্ডাল থানার পুলিশ। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে টানা চেষ্টা করার পরেও তলিয়ে যাওয়া চার যুবকের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই ডুবুরি এনে তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
খবর দেওয়া হয় আসানসোলের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল অণ্ডালের দিকে রওনা হয়েছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ওই দলে সাত থেকে আট জন আছেন বলে জানা গেছে। ডুবুরি ছাড়াও তাঁরা বিশেষ নৌকাও সঙ্গে আনছেন তল্লাশির জন্য।
দামোদর নদের ওই ঘাটের কাছ থেকে তলিয়ে যাওয়া চার যুবকের গামছা, চপ্পল ও জলের ঘটি পাওয়া গেছে।
টানা বৃষ্টির ফলে এখন শুধু দামোদর নয়, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ নদীই জলে ভরা। নদীতে স্রোতও প্রবল। ফলে অসতর্কতার জন্য নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা কয়েক দিন আগেই ঘটেছে। কুলিক নদীতে মাছ ধরা দেখতে গিয়ে শেওলায় পা পিছলে সেতু থেকে পড়ে যায় এক বছর চোদ্দোর ছেলে। তার কয়েক দিন আগে চার নাবালক তলিয়ে যায় জলের গভীরতা বুঝতে না পেরে। হাত ধরা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়।