
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা ঠিকমতো মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে অনেক সময়েই। চাহিদার তুলনায় সংখ্যায় কম বা থাকলেও, মিলছে না। মিললেও যে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে, তা অনেক বেশি। করোনা-আবহে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। এই সমস্যা সমাধানের জন্য এবার কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত অ্যাম্বুল্যান্সকে এক ছাতার তলায় এনে তৈরি হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স ম্যাপ।
নবান্ন সূত্রে খবর, কোভিড ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে কোভিড রোগীরা রাজ্যের সমস্ত ব্লকে এবং পুরসভায় যাতে অ্যাম্বুলান্স পেতে সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্যই অ্যাম্বুলান্স ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। চাইলেই যাতে সঠিক সময় কোভিড রোগীরা অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পেতে পারেন সে জন্যই এই ব্যবস্থা।
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। দৈনিক সংক্রমণ ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। করোনায় মৃত্যুও বাড়ছে। কোভিড মোকাবিলায় তাই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে, কিছু সেফ হোমকে কোভিড হাসপাতালে বদলে দেওয়ার কাজ চলছে। মেডিক্যাল অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়াতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আগামী সপ্তাহ থেকে রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। তাই জরুরি অবস্থার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে অনেক জেলাতেই অ্যাম্বুল্যান্স বাড়ন্ত। তাছাড়া সঠিক সময় পরিষেবাও পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই একটা সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে। সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে যে সমস্ত অ্যাম্বুল্যান্স কেনা হয়েছে ও সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির তরফে যে অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া গিয়েছে তার সবকটিকে নিয়েই একটা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় সংশ্লিষ্ট নোডাল অফিসারকে এই তালিকা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে জমা করতে হবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে কোভিড রোগীদের সঙ্কটে পড়তে না হয় তার জন্যই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।